Homeদেশের গণমাধ্যমেস্থিতিশীল সবজির বাজার, দাম কমেছে আলুর

স্থিতিশীল সবজির বাজার, দাম কমেছে আলুর

[ad_1]

রাজধানীর কাঁচাবাজারে সবজির দাম গত সপ্তাহের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে। তবে সরবরাহ বাড়ায় সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে আলুর দাম। গত সপ্তাহের ৫০ টাকার আলু প্রতি কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, জিগাতলা কাঁচা বাজার, কাঁঠাল বাগান ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের ৫০ টাকার গোল বেগুন ও লম্বা বেগুনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। কলার হালি ৩০ টাকা, মুলা ২০, ফুলকপি ও বাঁধাকপি দাম কমে ২০ থেকে ৩০, পেঁপে ও শালগম ৩০, কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০, শিম ৪০ থেকে ৫০, শসা ৫০, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। তবে পাড়া-মহল্লার বাজারে এসব সবজির মানভেদে দামের পার্থক্য রয়েছে।

নিউমার্কেট কাঁচাবাজারে গত সপ্তাহের মতো করলা, পটোল, ঝিঙা ও ধুন্দল প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০, চিচিঙ্গা ৬০, গাজর ৬০, লালশাক, পালং, কলমি ও ভাতি শাক ১০ থেকে ১৫ টাকা প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে। ৭০ টাকার দেশি টমেটো ১০ টাকা কমে ৬০, ইন্ডিয়ান টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।

ঝিগাতলা কাঁচাবাজারের নিয়মিত ক্রেতা আলতাব হোসেন কালবেলাকে বলেন, দুই সপ্তাহে বাজারে শীতকালীন সবজির দাম অনেকটা কমেছে। এমন দাম থাকলে সবার জন্যই সুবিধা হয়।

গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে আলুর দাম। গত সপ্তাহের ৫০ থেকে ৫৫ টাকার আলু বাজার ও মানভেদে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে কেউ কেউ ৫০ টাকা দরেও বিক্রি করছে। দেশি পেঁয়াজের দামও রয়েছে অপরিবর্তিত। প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫৫, ইন্ডিয়ান নতুন পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে। এ ছাড়া দেশি রসুন ২৫০ ও ইন্ডিয়ান রসুন প্রতি কেজি ২২০ টাকা, চায়না আদা ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, ক্যারোলা আদা ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারের আলু বিক্রেতা সোহেল বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় আলুর দাম কমেছে। এতে আমাদের ব্যবসায় কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। আলুর সরবরাহ বাজারে বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশি দামে কিনেও কেজিতে ১০ টাকা কমে বিক্রি করতে হচ্ছে।

এদিকে খোলা সয়াবিন তেল গত সপ্তাহের মতো প্রতি কেজি ১৮৫, খোলা পাম তেল ও সুপার প্রতি কেজি ১৭৫ টাকা, বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন ৮৪০ থেকে ৮৫০, ১ লিটার সয়াবিন ১৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের কৃষি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি মিনিকেট ও নাজিরশাইল ১৭৫ থেকে ১৮০, আটাশ ৬০ থেকে ৬৫, বাসমতী ১০০, পাইজাম ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে এই চাল নিউমার্কেট ও পাড়া-মহল্লার খুচরা বাজারে প্রতি কেজিতে ৫ টাকা করে বেশি।

কৃষি মার্কেটের চাল ব্যবসায়ী ওলিউল্লাহ কালবেলাকে বলেন, কারওয়ান বাজারে অন্য মার্কেটের তুলনায় চালের দাম ৫ থেকে ৬ টাকা কমে পাওয়া যায়। কারণ এখানে সবসময় ক্রেতা পাওয়া যায়। আর আমরা যেহেতু পাইকারি দিই, সেক্ষেত্রে অন্য জায়গার তুলনায় পার্থক্য থাকবেই।

অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগি ও ডিমের দাম। প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির ডিম ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, হাঁসের ডিমের হালি ৮০, প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা দরে। এক কেজি ওজনের ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২১০ টাকা, ২ থেকে ৩ কেজি ওজনের ব্রয়লার কেজিতে ১০ টাকা বেশি বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আকারভেদে পাবদা মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, ছোট রুই ২৫০, ৪ থেকে ৫ কেজি ওজনের রুই ৪৫০, টেংরা ৬৫০, চাষের শিং ৪৫০, তেলাপিয়া ২০০, পাঙাশ আকারভেদে ১৮০ থেকে ২০০, সিলভার প্রতি কেজি ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস ১১০০ থেকে ১১৫০ এবং গরুর মাংস ও কলিজা ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত