[ad_1]
অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিরা বিশ্বের কাছে স্রেফ সংখ্যায় পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন এই সংখ্যা বাড়ছে। বৃহস্পতিবার গাজায় নিহতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়িয়েছে। বিপুল সংখ্যক মানুষের এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ দেখার পরেও নির্বিকার বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলো।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় হামলায় শুরু করে ইসরায়েল। হাতেগোনা দুই একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যুদ্ধ বন্ধের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। তবে তাদের এই আহ্বানে ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো কানে তোলেনি। গত বছর ইসরায়েলের কাছে একরকম পরাস্ত হয়েছে হামাস, তাদের মিত্র লেবানেনের হিজবুল্লাহ। এরপরেও ১৫ মাস ধরে চলা এই সংঘাতের কোনো শেষ দেখা যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোট ৪৬ হাজার ছয় জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৯ হাজার ৩৭৮ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু, তবে নিহতদের মধ্যে কতজন যোদ্ধা বা বেসামরিক ব্যক্তি ছিলেন তা বলা হয়নি।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ছিটমহল থেকে আল জাজিরার সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের প্রথম নয় দিনে ইসরায়েলি বাহিনী আনুমানিক ৪৯০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে।
ইসরায়েলি হামলায় নিহত অনেক ফিলিস্তিনির তথ্য এখনো জানা যায়নি। এ কারণে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। দ্য ল্যানসেটে প্রকাশিত একটি নতুন একাডেমিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে, গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধের ফলে প্রথম নয় মাসে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা ৪১ শতাংশ কম বলে মনে করা হচ্ছে।
লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন, ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাবিদদের পরিচালিত পিয়ার-রিভিউ করা পরিসংখ্যানগত বিশ্লেষণে ক্যাপচার-রিক্যাপচার বিশ্লেষণ নামে একটি পরিসংখ্যানগত পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে।
গবেষকরা ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের জুনের শেষের দিকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা মূল্যায়ন করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, আনুমানিক ৬৪ হাজার ২৬০ জন আঘাতজনিত কারণে মারা গেছেন।
এই সংখ্যাটি ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সংখ্যার চেয়ে ৪১ শতাংশ বেশি। গবেষণায় ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে ইসরায়েলের সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকায় হতাহতের ইলেকট্রনিক রেকর্ড বজায় রাখার ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৫৯ দশমিক ১ শতাংশ নারী, শিশু এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষ।
[ad_2]
Source link