Homeদেশের গণমাধ্যমেদাম কমেছে আলুর, স্থিতিশীল সবজির বাজার

দাম কমেছে আলুর, স্থিতিশীল সবজির বাজার

[ad_1]

সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি আলুর দাম ১০ টাকা কমলো। বলা চলে, বাজারে শীতকালীন সব সবজির দাম ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে। তবে ডিমের দাম স্থিতিশীল আর চাল, মুরগি ও মাছের দাম আগের মতোই চড়া।

আজ শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ছুটির দিন। রাজধানীর মিরপুরসহ কয়েকটি এলাকার বাজার ঘুরে এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে।

ক্রেতারা বলছেন, বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম অনেকটাই কমে এসেছে। ফুলকপি, বাঁধাকপি ও টমেটোর দাম প্রতি কেজিতে ১০ টাকা করে কমেছে। বাকি সবজিগুলো আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

প্রতিকেজি গোল ও লম্বা বেগুন আগের মতো ৫০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি মুলা ২০টাকা, পেঁপে ও শালগম ৩০টাকা, প্রতি পিস ফুলকপি ও বাধাকপি ১৫-৩০টাকা, প্রতি পিস লাউ ৪০-৫০টাকা, কলার হালি ৩০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতিকেজি কাঁচামরিচ ৬০-৮০ টাকা, শিম ৪০- ৫০টাকা, শসা ৫০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দাম কমেছে আলুর, স্থিতিশীল সবজির বাজার

মিরপুর ১২ নাম্বার কাঁচাবাজারে গত সপ্তাহের মতো করলা,পটল, ঝিঙা ও ধুন্দল প্রতি কেজি ৮০- ১০০টাকা, চিচিঙা ৬০টাকা, গাজর ৬০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ৫০- ৬০টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। লালশাক, পালং, কলমি শাক ১০ থেকে ১৫টাকা প্রতি আঁটি বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন:

সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে আলুর দাম। গত সপ্তাহে ৫৫-৬০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া আলু ৩৫- ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মিরপুর ৬ নাম্বার কাঁচাবাজারে ব্যবসায়ী আলতাব হোসেন বলেন, শীতের সবজির প্রচুর সরবরাহ, দামও কম। বাজারে এখন প্রচুর আলু পাওয়া যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে দেশি আলু। এ জন্য দাম কমেছে।

প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ কেজি ৫০- ৫৫ টাকা, ইন্ডিয়ান নতুন পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫- ৬০ টাকা দরে। এ ছাড়া দেশি রসুন ২৫০ ও ইন্ডিয়ান রসুন প্রতি কেজি ২২০ টাকা, চীনা আদা ১৮০- ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খোলা সয়াবিন তেল গত সপ্তাহের মতো প্রতি কেজি ১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা পাম তেল ও সুপার প্রতি কেজি ১৭৫ টাকা, বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন ৮৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগি ও গরুর মাংসের দাম। প্রতি কেজি সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা দরে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০- ২১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস প্রতিকেজি ৭৫০-৭৮০ টাকা, খাসির মাংস প্রতিকেজি ১১০০-১১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দাম কমেছে আলুর, স্থিতিশীল সবজির বাজার

আকারভেদে প্রতিকেজি পাবদা মাছ ৩৫০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০টাকা, ছোট রুই ২৫০টাকা, ৪ থেকে ৫ কেজি ওজনের রুই ৪৫০টাকা, টেংরা ৬৫০টাকা, চাষের শিং ৪৫০ টাকা, পাঙাশ আকারভেদে ১৮০- ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগের মতোই চড়া চালের বাজার। প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৮০-৯০ টাকা,মান ভেদে মিনিকেট ৮৫-৯০ টাকা, বিআর- ২৮ চাল ৬০- ৬৫ টাকায়, মোটা চাল (গুটি স্বর্ণা) ৫৫- ৫৮ টাকা, পুরোনো আটাশ ৬৫ টাকা, পাইজাম ৬০ টাকা, কাটারিভোগ ৮৫ টাকা, বাসমতী ৯৪- ৯৮ টাকা, পোলাওর চাল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ও আমন ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মিরপুর ১১ নাম্বার কাঁচাবাজারের চাল ব্যবসায়ী হামিদুল্লাহ বলেন, বাজারভেদে চালের দাম ৫-৬ টাকা কম বেশি হয়। এর কারণ সরবরাহ ও মজুত। কারও কাছে পুরোনো চাল থাকলে সে আগের দামে বিক্রি করতে পারে।

তবে চালের দামের ঊর্ধ্বগতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। জুবায়ের নামে একজন ক্রেতা বলেন, ৭০ টাকার নিচে ভালো কোনো চাল নেই। ভরা মৌসুমে চালের এতো দাম হলে অন্য সময় কী হবে।

নুরুন নাহার নামে আরেক ক্রেতা বলেন, এখন যে পরিস্থিতি আগামী রমজানে তো মনে হয় চালের দাম ১০০ টাকা ছাড়াবে। চালের বাজারে কঠোর মনিটরিং প্রয়োজন।

এসএম/এসএনআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত