Homeদেশের গণমাধ্যমেঘোষণাপত্রে সবার আগে শেখ হাসিনার বিচার দেখতে চায় জনগণ: সারজিস আলম

ঘোষণাপত্রে সবার আগে শেখ হাসিনার বিচার দেখতে চায় জনগণ: সারজিস আলম

[ad_1]

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘বাংলার মানুষ হাতে হাত রেখে বাংলার মাটি থেকে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারকে লড়াই করে বিদায় করেছি। সেজন্য সরকারকে ২৪-এর অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রে সবার আগে স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার বিচার দেখতে চায় বাংলার জনগণ।’

তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে খুনি হাসিনাসহ যাদের নির্দেশে এত মানুষকে খুন করা হয়েছে, রক্ত জরানো হয়েছে, তাদের বিচারের শাস্তির স্পষ্ট কথা এই ঘোষণাপত্রে থাকতে হবে। আমরা সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা একাত্মতা প্রকাশ করে আমাদের ৭ দফা দাবিকে যৌক্তিক বলে জানিয়েছেন।’

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে ভোলায় জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের জনমত তৈরিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণসংযোগের অংশ হিসেবে ভোলা শহরে  লিফলেট বিতরণ ও পথসভায় যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই ঘোষণাপত্রে সবার আগে ছাত্রদের অভ্যুত্থানে আওয়ামী খুনি ও দোসরদের বিচার নিশ্চিত করার স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে।’ 

তিনি বলেন, ‘এই ঘোষণাপত্রে প্রত্যেকটা জেলা ও উপজেলার শ্রমিক মেহনতি মানুষের আত্মত্যাগের কথা উঠে আসতে হবে। এটি যেন কয়েকজনের কথা না হয়।’

নাগরিক কমিটির এই মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের সিন্ডিকেট বসিয়েছে। তার পরিবার প্রত্যেকটি জায়গায় সিন্ডিকেট বসিয়ে জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। সেগুলোকে শেষ করে সমতার একটি বাংলাদেশ দেখতে চায় বাংলার মানুষ।’

তিনি বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারকে সামনে রেখে সারা বাংলাদেশে ছাত্রজনতা ঐক্যবদ্ধভাবে এই বাংলাদেশ থেকে খুনি শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করে ভারতে পাঠিয়েছে। যেই ব্যানারকে সামনে রেখে একটি বড় অভ্যুত্থান হলো সেই ব্যানারের নাম সুস্পষ্টভাবে যেন ওই ঘোষণাপত্রে থাকে, সেটির দাবি জানিয়েছে ভোলার ছাত্র আন্দোলনকারীরা।’ 

গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি, আহতদের সরকারি খরচে চিকিৎসা, আওয়ামী খুনি ও তাদের দোসরদের বিচার এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব পরিষ্কারভাবে উল্লেখসহ সাত দফা যৌক্তিক দাবি নিয়ে জুলাই ঘোষণাপত্র দ্রুত রাষ্ট্র বাস্তবায়ন করবে বলে আশা করেন তিনি।

এর আগে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষে ভোলা বাংলা স্কুল মোড়, সদর রোড, নতুন বাজার এলাকায় ঘোষণাপত্র ৭ দফা দাবিতে লিফলেট বিতরণ করেন। পরে সরকারি স্কুল সংলগ্ন ইলিশা ফোয়ারা মোড়ে পথসভায় বক্তব্য রাখেন। তিনি ভোলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ জসিম উদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সহানুভূতি জানান। এ ছাড়াও জসিম উদ্দিনের কবর জিয়ারত করেন।

কর্মসূচিতে জাতীয় নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, সমন্বয়ক রাসেল মাহমুদ, সমন্বয়ক এম এ সাঈদ, কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুর রহমান তুহিন, আব্দুল্লাহ আল-মামুন ফয়সালসহ ভোলার শত শত শিক্ষার্থী-জনতা উপস্থিত ছিলেন।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত