[ad_1]
গাজীপুর জেলা কারাগারের বন্দি হাজতি শেখ জহিরুল ইসলাম জহির (৪৬) হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৫টায় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গাজীপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ রফিকুল কাদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জহিরুল ইসলাম শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সিংদিঘী গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে এবং শ্রীপুর উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
গাজীপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ রফিকুল কাদের বলেন, ‘গাজীপুরের শ্রীপুর থানার একটি হত্যা মামলায় আসামি জহিরুল ইসলামকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকাল পৌনে ৫টায় কারাগারে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। পরে ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাজতি জহিরের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তার বাবা মজিবুর রহমান ও ভাই এখন কারাগারে রয়েছেন। জহিরের মরদেহ গ্রহণের জন্য তাদের কাছ থেকে একটি আবেদন পেয়েছি।’
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শেখ ফরহাদ জানান, জহিরুল ইসলামকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল বলে কারারক্ষীরা জানিয়েছেন।
জহিরের স্ত্রী আমেনা খাতুন জানান, তার স্বামীর নামে কোনও মামলা ছিল না। গত ৫ ডিসেম্বর শ্রীপুর থানার পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পর দিন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার সন্দেহভাজন অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে গাজীপুর আদালতে পাঠায়। বিচারক জামিন না দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠান। তারপর থেকে তিনি গাজীপুর জেলা কারাগারে বন্দি ছিলেন। তিনি কীভাবে মারা গেছেন তা নিশ্চিত হতে পারেননি তিনি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, ‘গত ৬ ডিসেম্বর শ্রীপুর থানার একটি মামলায় আসামি শেখ জহিরুল ইসলাম জহিরকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। শুনেছি শুক্রবার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।’ তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, এ বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি তিনি। মামলার নথি দেখলে বলতে পারবেন বলে জানান।
[ad_2]
Source link