[ad_1]
সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানান, আনন্দ মোহন কলেজে মেয়েদের পাঁচটি এবং ছেলেদের তিনটি ছাত্রাবাস রয়েছে। হোস্টেলগুলো আগে ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রণ করত। ছাত্রলীগের মতো নিয়ন্ত্রণ আর যেন ফিরে না আসে, সেই দাবি হোস্টেলে থাকা সাধারণ শিক্ষার্থীদের। ছাত্রাবাসে প্রতিবছর সিট নবায়ন করতে হয়। গত ৮ জানুয়ারি ছাত্রাবাসে সিট নবায়নের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। ছাত্রাবাসে সিট বরাদ্দের জন্য বাৎসরিক পাঁচ হাজার টাকা থেকে বিগত ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণের সময় সাত হাজার টাকা করা হয়। এখন শিক্ষার্থীরা সেটি কমিয়ে পাঁচ হাজার টাকা করার দাবি জানাচ্ছিলেন। হলের নিয়ন্ত্রণ ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নিতে চাচ্ছে—এমন খবর ছড়াতে থাকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এ নিয়ে দুটি পক্ষ তৈরি হয়ে উত্তেজনা শুরু হতে থাকে।
সন্ধ্যা ছয়টার দিকে দেখা যায়, কলেজের অভ্যন্তরে অবস্থান করছেন হোস্টেলের শিক্ষার্থীরা। আর কলেজের বাইরে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীরা। তাঁরা সন্ধ্যা ছয়টার দিকে একটি মিছিল নিয়ে কলেজের ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে পুনরায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে দুই পক্ষই। থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে পুরো কলেজ এলাকায়। সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছিলেন। দুই পক্ষের মধ্যেই উত্তেজনা চলছিল।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ময়মনসিংহের সমন্বয়ক আশিকুর রহমানের মুঠোফোনে ফোন করা হলেও তিনি ঝামেলা শেষে কথা বলবেন জানিয়ে ফোন কেটে দেন। তবে আরেক সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ছাত্রাবাসে আমরা কোনো সিট চাইনি। আমাদের দাবি ছিল অছাত্র যারা রয়েছে তারা হলে থাকতে পারবে না, ছাত্রাবাসভিত্তিক যেন সিট বরাদ্দ দেওয়া হয়। সিট বরাদ্দ হবে ডিপার্টমেন্ট থেকে, কোনো রাজনৈতিক সংগঠন থেকে নয়, এটি আমাদের দাবি ছিল। ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্ট যারা আছে তাদের হল থেকে বের করে দিতে হবে। আমাদের সঙ্গে সভা চলার সময় ছাত্রলীগের যারা এখনো আছে তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে ঘটনাটি ঘটায়।’
[ad_2]
Source link