Homeজাতীয়বেনজীর ও তাঁর বড় মেয়ের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ

বেনজীর ও তাঁর বড় মেয়ের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ

[ad_1]

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজি) বেনজীর আহমেদ এবং তাঁর বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীরের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই নির্দেশ দেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বিশেষ পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই নির্দেশনা দিয়েছেন।

এর আগে গত ৮ জানুয়ারি বেনজীরের স্ত্রী জীশান মীর্জা এবং ছোট মেয়ে তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীরের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দিয়েছিলেন একই আদালত।

বেনজীর ও তার বড় মেয়ের আয়কর নথির জব্দ চেয়ে আবেদন করেন দুদকের পক্ষে দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সংস্থাটির উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম।

বেনজীরের আয়কর নথি জব্দের আবেদনে বলা হয়, তিনি মিথ্যা তথ্য দেওয়ার মাধ্যমে ১৬ কোটি এক লাখ ৭১ হাজার ৩৩৬ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে এবং ৩১ কোটি ৬৯ লাখ ৫৫ হাজার ১৪৯ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারার এবং বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে স্ত্রী কন্যাদের অপরাধে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায়ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ বিষয়ে মামলা করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আয়কর রিটার্নসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র জব্দ করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন। এমতাবস্থায়, আয়কর অফিস থেকে রেকর্ডপত্র জব্দ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রার্থনা করা হলো।

তাহসীন রাইসার আবেদনে বলা হয়, তাহসীন রাইসা ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৫৫ হাজার ৮৫ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারার এবং বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশ ও র‍্যাবের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তাজসীন রাইসাকে অপরাধে প্রত্যক্ষ সহায়তা করে দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আয়কর রিটার্নসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র জব্দ করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।

বেনজীর, তাঁর স্ত্রী এবং কন্যার নামে গত ১৫ ডিসেম্বর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছর ৩১ মার্চ ‘বেনজীরের ঘরে আলাদিনের চেরাগ’ এবং ৩ এপ্রিল ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’ শিরোনামে একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে আসে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

গত বছর ২২ এপ্রিল বেনজীর, তার স্ত্রী জিসান মির্জা, দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাশিন রাইসা বিনতে বেনজীরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। এরপর একই বছরে বেনজীর সপরিবারে দেশ ত্যাগ করেন।

পরে গত বছর ২৩ মে বেনজীর আহমেদের ৮৩টি দলিলের সম্পত্তি ও ৩৩টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেন আদালত। এরপর ২৬ মে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ১১৯টি জমির দলিল, ২৩টি কোম্পানির শেয়ার ও গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন আদালত।

এই ধারাবাহিকতায় বেনজীর আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের স্থাবর সম্পদ জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব জব্দের কার্যক্রম চলমান থাকে। এর মধ্যে গত ১৫ ডিসেম্বর তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর মামলার তদন্তের জন্য আয়কর নথি জব্দের প্রয়োজন হলে দুদক আদালতে আবেদন করে।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত