[ad_1]
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত ব্যক্তির তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট দুপুরে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা বানিয়াচং উপজেলার এলআর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে সমাবেত হয়ে একটি মিছিল নিয়ে উপজেলার নতুনবাজার হয়ে বড় বাজারে যায়। আন্দোলনকারী থানার সামনে দিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয় ঈদগাহ এলাকায় পুলিশ বাধা দেয়। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় মিছিলকারীদের। আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকলে পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে থাকে। পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলে ৯ জন নিহত হন। আহত হন পুলিশসহ দেড় শতাধিক মানুষ।
এ সময় গুলিতে রায়হান গুলিবিদ্ধ হন। একটি গুলিতে পেট ও কোমর ছিদ্র হয়ে যায়। পরে তাঁকে আশপাশের লোকজন ও আত্মীয়স্বজন উদ্ধার করে প্রথমে হবিগঞ্জ হাসপাতাল এবং পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে টানা চার মাস চিকিৎসা হয়। চিকিৎসাবস্থায় তাঁর কোমরে ও পেটে পাঁচটি অস্ত্রোপচার হয়। এতে ব্যয় হয় ৫ লাখ টাকা। আহত রায়হান জানান, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ধারদেনা করে এই টাকার জোগান দেন চিকিৎসায়। কিন্তু চিকিৎসা এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। অস্ত্রোপচারের জায়গায় ব্যথা অনুভব করেন। রাত হলে ব্যথায় চিৎকার করে ওঠেন। চিকিৎসকেরা তাঁকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে বললেও অর্থাভাবে তা চালিয়ে যেতে পারছেন না। যে কারণে বাড়িতে ফিরে আসতে হয় তাঁকে।
[ad_2]
Source link