[ad_1]
তদন্তে স্যার লাউরি ম্যাগনাস মূলত যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীদের জন্য বেধে দেওয়া নিয়মশৃঙ্খলার ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি যাচাই করার চেষ্টা করেছেন, টিউলিপ আদতে মন্ত্রিত্বের মানদণ্ড লঙ্ঘন করেছেন কি না। কিংবা টিউলিপের কোনো কাজ এই মানদণ্ডের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কি না।
স্যার লাউরি ম্যাগনাস এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় খুঁজে পাননি। তবে প্রকৃতিগতভাবে এই তদন্ত ছিল সীমিত। মাত্র আট দিনে তদন্ত শেষ করতে হওয়ায় তিনি টিউলিপের সম্পত্তির কর ব্যবস্থাপনা এবং তহবিলের উৎস নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পাননি।
এসব তথ্য-উপাত্ত না পাওয়াকে ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন স্যার লাউরি ম্যাগনাস। তিনি মস্কো সফর ও পুতিনের সঙ্গে দেখা করার বিষয়ে টিউলিপের যুক্তি নির্দ্বিধায় গ্রহণ করে নিয়েছেন পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ না থাকায়। তবে তিনি সুযোগ অবারিত রেখেছেন যে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের তদন্তে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত প্রমাণ বেরিয়ে আসতে পারে।
তবে একটি বিষয়ে স্যার লাউরি ম্যাগনাস নির্দ্বিধায় বলেছেন, বাংলাদেশের শাসনকাঠামোয় জড়িত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা যে তাঁর ও লেবার সরকারের সুনামের জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে, সে বিষয়ে টিউলিপ পর্যাপ্ত সতর্ক ছিলেন না।
প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের উদ্দেশে তাঁর (স্যার লাউরি ম্যাগনাস) চূড়ান্ত পারমর্শ—প্রধানমন্ত্রীর সামনে আর বিকল্প নেই।
স্যার লাউরি ম্যাগনাস লিখেছেন, ‘আমি এটা বলব না যে এই বিচ্যুতি মন্ত্রিত্বের মানদণ্ড লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য করা উচিত হবে। তবে আপনি চাইলে এর আলোকে তাঁর (টিউলিপ) চলমান দায়িত্বগুলো বিবেচনা করতে পারেন।’
[ad_2]
Source link