Homeজাতীয়যুদ্ধবিরতি চুক্তি, গাজায় থেমে নেই ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৭৭

যুদ্ধবিরতি চুক্তি, গাজায় থেমে নেই ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৭৭

[ad_1]

যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণার পরও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে গাজা সিটি, মধ্য গাজা ও দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে পৃথক হামলায় তারা নিহত হন। সংবাদ সংস্থা আনাদুলো এজেন্সির খবরে এ তথ্য জানানো হয়।

গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসল এক বিবৃতিতে বলেন, বুধবার রাতে নিহতদের মধ্যে ২৫ জন নারী ও ২১ শিশু রয়েছে এবং ২৫০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছেন।  মুখপাত্র বলেন, গাজা সিটিতে বিমান হামলায় ৬৬ জন, মধ্য গাজা উপত্যকায় চারজন এবং দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে সাতজন নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে একটি মেডিকেল সূত্র আনাদোলুকে জানায়, গাজা সিটির একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২০ ফিলিস্তিনি নিহত ও আরও অনেকে আহত হয়েছেন।

বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা আনাদোলুকে জানিয়েছেন, গাজা সিটির শেখ রাদওয়ান এলাকার একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। গাজা সিটির রিমাল এলাকার একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সিভিল ডিফেন্স।

গাজা সিটিতে তৃতীয় হামলায় আল-দারাজ এলাকার একটি অ্যাপার্টমেন্টে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর হামলায় চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। শেজাইয়া এলাকার একটি বাড়িতে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় একটি ছোট মেয়েও নিহত হয়েছে। এছাড়াও গাজা সিটির সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, একটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রের বরাতে আনাদুলো খবরে বলা হয়, গাজা সিটির পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের তেল আল-হাওয়া, জেইতুন এবং আল-সাবরা এলাকা লক্ষ্য করে ইসরায়েলি আর্টিলারি ভারী গোলাবর্ষণের খবর দিয়েছে।

গাজা উপত্যকায় ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি প্রাণঘাতী হামলার অবসানে বুধবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি ঘোষণা করেছে কাতার। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বলেছেন, তিন ধাপের এই চুক্তি রবিবার থেকে কার্যকর হবে। চুক্তির মধ্যে রয়েছে বন্দি বিনিময় এবং টেকসই শান্তি, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যে।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত