Homeদেশের গণমাধ্যমেরাশিয়ার ওপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় বাড়ছে ডিজেলের দাম

রাশিয়ার ওপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় বাড়ছে ডিজেলের দাম

[ad_1]

রাশিয়ার তেলের ব্যবসার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ নিষেধাজ্ঞার পর ডিজেলের মূল্য এবং পরিশোধন মার্জিন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য ও এলএসইজি তথ্যের ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে, এই পদক্ষেপ সরবরাহ সংকট সৃষ্টি করবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র গত ১০ জানুয়ারি রাশিয়ার তেল উৎপাদক ও ট্যাংকারের ওপর এ পর্যন্ত সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর উদ্দেশ্য ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যয় বহনে দ্বিতীয় বৃহত্তম তেল রফতানিকারকের রাজস্ব সংকুচিত করা।

নতুন নিষেধাজ্ঞায় লক্ষ্যবস্তু করা বেশিরভাগ জাহাজকে একটি কথিত গোপন বহর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে ভারত ও চীনে তেল সরবরাহ করত। রাশিয়ার সস্তা তেল আমদানি করে এই দেশগুলোর পরিশোধনাগারগুলো উপকৃত হয়েছে, যা ইউরোপে নিষিদ্ধ।

এনার্জি অ্যাসপেক্টসের বিশ্লেষক নাটালিয়া লোসাডা বলেন, নিষেধাজ্ঞার খবরের পর ডিজেলের (মুনাফার ব্যবধান) বেড়েছে এবং আমরা রাশিয়ার ডিজেল রফতানিতে উল্লেখযোগ্য বাধা আশা করছি। গ্যাজপ্রম নেফট এবং সারগুতনেফতেগাজের পরিশোধনাগার থেকে রাশিয়ার অন্তত দৈনিক ১ লাখ ৫০ হাজার ব্যারেল ডিজেল রফতানি ঝুঁকির মুখে রয়েছে।

ইউরোপ ও এশিয়ায় ডিজেল বাজারের প্রভাব
বৃহস্পতিবার প্রথম মাসের ইউরোপীয় ডিজেল বেঞ্চমার্ক চুক্তির প্রিমিয়াম ছয় মাসের চুক্তির তুলনায় প্রতি মেট্রিক টনে ৫০.২৫ ডলার বেড়ে ১০ মাসের উচ্চতায় পৌঁছেছে। এলএসইজি তথ্য অনুযায়ী, ডিজেল পরিশোধন মার্জিন প্রতি ব্যারেলে ২০ ডলারে পৌঁছেছে, যা পাঁচ মাসের সর্বোচ্চ।

উত্তর গোলার্ধের শীতকালীন আবহাওয়াও ডিজেলের বাজারকে সহায়তা করেছে। এশীয় ডিজেল পরিশোধন মার্জিন সোমবার ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি ব্যারেলে ১৭ ডলার ছাড়িয়ে যায়, যা সেপ্টেম্বরের পর সবচেয়ে বড় বৃদ্ধি। তবে বৃহস্পতিবার তা ১৬.৫০ ডলারে নেমে আসে।

যুক্তরাষ্ট্রে ডিজেল ফিউচার ১০ জানুয়ারি ৫শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে বৃহস্পতিবার প্রতি ব্যারেলে ১১১ ডলারে পৌঁছায়, যা ছয় মাসের সর্বোচ্চ।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক দুই বাণিজ্য সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়ার ডিজেল প্রবাহ কমলেও এশীয় বাজারে সরাসরি বড় প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম।

রাশিয়ার প্রধান ক্রেতাদের সংকট ও ইউরোপের বিকল্প উৎস
২০২২ সালের পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আগে ইউরোপ রাশিয়ার ডিজেলের শীর্ষ ক্রেতা ছিল। এখন তারা ভারত, মধ্যপ্রাচ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরবরাহের ঘাটতি পূরণ করছে।

স্পার্টা কমোডিটিসের বিশ্লেষক জেমস নোয়েল-বেসউইক বলেন, রাশিয়ার প্রধান ডিজেল ক্রেতা তুরস্ক এবং ব্রাজিলকে যদি বিকল্প উৎস খুঁজতে হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর দিকে ঝুঁকতে হবে। এটি ইউরোপের ক্রেতাদের জন্য প্রতিযোগিতা আরও বাড়াবে।

অন্যান্য বিশ্লেষক মনে করেন, বাজার এই নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সক্ষম হবে। এফজিই এনার্জির বিশ্লেষক ইউজিন লিন্ডেল বলেন, আমরা মনে করি না যে রাশিয়ার পণ্যের প্রবাহে বড় পরিবর্তন আসবে। একই পরিমাণ সরবরাহ নিষিদ্ধ না হওয়া ট্যাংকারের মাধ্যমে একই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে।

 



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত