[ad_1]
আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেছেন, বিচারের আগে আওয়ামী লীগ কোনও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। আমাদের দাবি, আওয়ামী লীগসহ সব লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও নিবন্ধন স্থগিত করতে হবে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর আল-রাজী কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তিনি এ দাবি জানান বলেন। ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যায় জড়িতদের বিচারের’ দাবিতে ওই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে গণঅধিকার পরিষদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বের করে দলটি, যা নাইটিংগেল, ফকিরাপুল, দৈনিক বাংলার মোড় ও পল্টন মোড় ঘুরে আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে এসে শেষ হয়।
রাশেদ খান বলেন, ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ভারতে পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে আনতে হবে। তাদের শাস্তি না হলে শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। এই খুনি দলটি বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, সরকার বা হাইকোর্টের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হলে, তারা নির্বাচনে যেতে পারবে। প্রধান উপদেষ্টা আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে যাওয়ার সুযোগ দিলে, তার বিরুদ্ধেই আন্দোলন শুরু হবে।’
দলের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, ‘গণহত্যায় জড়িত অনেকেই প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে অথচ পুলিশ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।’
গণঅধিকার পরিষদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন– গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিল উজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঈসমাইল আহমেদ বন্ধন, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল প্রমুখ।
[ad_2]
Source link