[ad_1]
বাংলাদেশে প্রতিবছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে। মৃত্যুর এই উচ্চ হার বিশ্বের আর কোথাও নেই। যাঁরা মশা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে আছেন, তাঁরা দায় আর দরদ দিয়ে কাজ করেন না বলে অনেকের ধারণা। তাঁরা এটাকে চাকরি হিসেবেই দেখেন। আন্তরিকতাপূর্ণ সহাবস্থানের অভাবে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন তাঁরা। একই সঙ্গে রোগীর অসচেতনতা, অপরিকল্পিত নগরায়ণ, রোগীকে উপজেলা পর্যায়ে প্রাথমিক চিকিৎসা না দিয়ে জেলা কিংবা বিভাগীয় হাসপাতালে রেফার করা হয়, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা প্রতিবছরই ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ায় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
সরকারের মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে জাতীয় নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও বিভাগীয় পর্যায় থেকে প্রতি মাসে এডিস মশার ঘনত্ব ও ঝুঁকির তথ্য এবং চাহিদাপত্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। এ ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদেরই মূল ভূমিকা পালনের কথা। কিন্তু গত ৫ আগস্ট গণ–অভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তনের পর থেকে দেশের প্রায় সব মেয়র ও কাউন্সিলরকে অপসারণ করা হয়।
জনপ্রতিনিধি না থাকায় কোনো তথ্যই মন্ত্রণালয়ে যায়নি এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধ বা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। এসব সংস্থায় প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় সরকারি কর্মকর্তাদের। তদারকির অভাবে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ভেঙে পড়ায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে মনে করেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব কর্মকর্তার ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তার কারণেই মূলত রাজধানীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রম থমকে আছে। আর দিন দিন ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠছে।
[ad_2]
Source link