[ad_1]
দশম গ্রেড বেতন স্কেলের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন অভিমুখে পদযাত্রা করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরের পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে পদযাত্রা শুরু করেন তারা। শাহবাগ থানার সামনে এলে পদযাত্রাটিতে বাধা দেয় পুলিশ।
এর আগে সকাল ১০টা থেকে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ করেন সারা দেশ থেকে আসা বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এসময় তারা নিজেদের দাবি আদায়ে শপথ বাক্য পাঠ করেন এবং অধিকার আদায়ের প্রশ্নে কারও সঙ্গে আপস না করার ঘোষণা দেন। দুপুরের দিকে বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য রফিকুল ইসলাম ও গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল ইসলাম নুর তাদের কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
একপর্যায়ে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা সরকারের প্রতিনিধিদের দুপুর ২টার মধ্যে তাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য সময় বেঁধে দেন। তবে এসময়ে মধ্যে সরকারের প্রতিনিধি কেউ না আসলে তারা পৌনে ৪টার দিকে পদযাত্রা কর্মসূচি নিয়ে যমুনা অভিমুখে রওনা দেন। তারা তাদের দাবি-দাওয়া প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে পৌঁছে দিতে সেখানে যেতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তারা বাধা দেন। তারা শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে থানায় নিয়ে আলোচনা করছেন। সেখানে শিক্ষকদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে মিছিলটি আটকে দেওয়ার পর শিক্ষকরা শাহবাগেই অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে মাইক ব্যবহার করে বিভিন্ন বক্তব্য দিচ্ছেন শিক্ষক নেতারা। বিকালে এই খবর লেখা পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করছেন। এতে করে আশপাশে যান চলাচলে ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলছেন, বর্তমানে বেতনের ১৩তম গ্রেডের মাধ্যমে শিক্ষকদের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়েছে। এমন গ্রেডে থাকা মানেই শিক্ষকদের অমর্যদা করার শামিল।
‘শিক্ষকরাই দেশ গড়ার কারিগর’ উল্লেখ করে এক শিক্ষক বলেন, ‘দ্রুত দশম গ্রেড বাস্তবায়ন করতে হবে। বর্তমানে ১৩তম গ্রেডের বেসিক বেতন ১১ হাজার টাকা। দশম গ্রেডে তা দাঁড়াবে ১৬ হাজার টাকা।’
[ad_2]
Source link