[ad_1]
যেহেতু দেশে প্রয়োজনীয় সংস্কার বিধিবদ্ধ করে রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত নির্বাচনি গণতন্ত্রে ফিরে যেতে চায়, তাই তাদের স্বার্থেই ‘সমঝোতা পরিষদ’ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও জুলাই ৩৬ ফোরাম ‘অপরাজেয় বাংলা’ আয়োজিত ‘সমঝোতা ব্যতীত সংবিধান সংস্কার কি সম্ভব?’ শীর্ষক সমঝোতা সংলাপে এ আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
সভায় লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রচার সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিবউদ্দীন হোসেন বলেন, এই মুহূর্তের একটা বড় রাজনৈতিক প্রশ্ন হচ্ছে— এই সমঝোতা করবে কারা? একটা পক্ষ হতে পারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে সংবিধান সংস্কার কমিশন যে সুপারিশ করেছে, সেই সুপারিশ থেকে ন্যূনতম ঐক্য বের করে আনা সরকারের জন্য দুষ্কর হয়ে উঠবে। কারণ রাজনৈতিক দলগুলোর সংবিধানের সংস্কার বিষয়ে মৌলিক মতপার্থক্য আছে। এই পার্থক্য মেটাতে প্রয়োজন হবে দলগুলোর মধ্যে মুখোমুখি আলোচনা এবং সমঝোতা।
তিনি আরও বলেন, এই অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিজে যেহেতু সংবিধান সংস্কার কমিশনের দেওয়া সুপারিশকে বৈধতা দেবার এখতিয়ার রাখে না, তাদের দায়িত্ব হতে পারতো রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে নিয়ে একটা জাতীয় সমঝোতা পরিষদ গড়ে তোলা। অপরদিকে রাজনৈতিক দলগুলো যেহেতু চায় যে, দেশ প্রয়োজনীয় সংস্কার বিধিবদ্ধ করে দ্রুত একটা নির্বাচনি গণতন্ত্রে ফিরে যেতে, তারাও তাদের স্বার্থেই এই সমঝোতা পরিষদ গড়ে তোলার ডাক দিতে পারে। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এই সভার মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দলের কাছে এই সমঝোতা পরিষদ গড়ে তোলার আহ্বান রাখছে। একইসঙ্গে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঐক্য কমিশনকে এই পরিষদে যুক্ত হবার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, সরকারের ঐক্য পরিষদ এই সমঝোতা পরিষদের সেক্রেটারিয়েটের ভূমিকায় ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করতে পারে।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছু দূরত্ব ও ঐক্যে ফাটল দেখা যাচ্ছে। এর সুযোগ নিচ্ছে পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ। এই দূরত্ব আরও বাড়তে থাকলে তারা কোনও না কোনও রূপে অবশ্যই ফিরে আসবে। জাতীয় স্বার্থ, গণতন্ত্র রক্ষার প্রশ্নে আমাদের ঐক্য ধরে রাখতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কারের একটা পরিসর এবং পদ্ধতি নিয়ে এক ধরনের চিন্তা দানা বেঁধেছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের এক ধরনের চিন্তা আছে। কিন্তু এই বিষয়ে রাজনৈতিক দল ও আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের আলোচনা খুব একটা করছে না। সরকার না করলেও আমরা যারা লড়াই করে আসছি, একসঙ্গে হয়েছি তাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে হবে।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, আমার বাংলাদেশ পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, এনডিএমের মহাসচিব মোমিনুল আমিন, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, জুলাই ৩৬ ফোরাম অপরাজেয় বাংলার আহ্বায়ক এম এ এন শাহীন প্রমুখ।
[ad_2]
Source link