[ad_1]
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রের একাংশ সন্ত্রাসীদের হাতে চলে গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব এসব অস্ত্র উদ্ধার করে প্রত্যেক সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। কিন্তু এখনো বহু অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি। এর পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে দখলবাজি, চাঁদাবাজির ঘটনাও ঘটছে।
সরকারের পক্ষ থেকে প্রায়ই বলা হয়, সাবেক সরকারের আমলে পুলিশ আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় অনেক স্থানে তাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, অনেক পুলিশ সদস্য কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন। সরকার দায়িত্ব নিয়েছে আড়াই মাস হলো। এরপরও থানা–পুলিশ সক্রিয় হয়নি, এই অজুহাত মানুষ শুনতে চাইবে না।
কেবল মোহাম্মদপুর এলাকা নয়, ঢাকাসহ দেশের আরও অনেক এলাকায়ই আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে। কোনো কোনো এলাকায় মব জাস্টিসের ঘটনাও ঘটেছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি ও সেনাসদস্যরাও আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে আছেন। সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাও।
এরপরও খুন, ছিনতাই, ডাকাতির মতো গুরুতর অপরাধমূলক ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব যাদের ওপর ন্যস্ত, তারা কি ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছে না? গতকাল রোববার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, মোহাম্মদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা আশা করি, অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
[ad_2]
Source link