[ad_1]
একটা ম্যাচের আগের দিনের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে সাধারণত অধিনায়কই আসেন। অথবা কোচ, কখনো কখনো কোচ অধিনায়ক দুজনই। হ্যাঁ, অনেক সময় কোচ, অধিনায়ক বাদ দিয়ে দলের সিনিয়র কোনো ক্রিকেটারও আসতে পারেন।
তাইজুলকে অনায়াসেই সে কাতারে ফেলে দেওয়া যায় এবং এভাবে ভাবলে তাঁর সংবাদ সম্মেলনে আসাটাও গ্রহণযোগ্যতা পায়। কিন্তু কেউ যেন এটা মেনে নিতেই রাজি নন যে একজন সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে তাইজুলও হতে পারেন দলের প্রতিনিধি, ১০ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে ফেলার পর তাঁকে শুধু একজন অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে বিবেচনা করাটা ঠিক নয়।
আসলে সাধারণ্যে তাইজুলকে নিয়ে সেই সেন্টিমেন্টটা তৈরি হয়নি। সাকিব আল হাসানের পর এখন তিনিই টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক, অনেক ম্যাচেই বল হাতে উজ্জ্বল তাঁর পারফরম্যান্স। তবু বাংলাদেশের ক্রিকেটে ‘তাইজুল ইসলাম’ নামটা খুব বড় কোনো তারকার প্রতিবিম্ব হয়ে উঠতে পারেনি। এর অন্যতম কারণ, বাঁহাতি স্পিনার হওয়ায় ক্যারিয়ারজুড়ে তিনি ঢাকা পড়ে থেকেছেন সাকিব আল হাসানের ছায়ায়। এ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলতি সিরিজের মিরপুর টেস্টে তাইজুল নিজেও অনেক কথা বলেছেন, তাঁর দিক থেকে অনেক কিছু পরিষ্কারও করেছেন।
তবে তাইজুলের ক্যারিয়ার যে সাকিবের ছায়ায় ঢাকা পড়ে থাকল, সেটা তো বাইরের মানুষের চোখে। এত বছর খেলে ফেলার পর একজন জ্যেষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে দলের ভেতরে তো তাঁর একটা অবস্থান তৈরি হওয়ারই কথা। আর সেটি দিয়ে দলে তাঁর ইতিবাচক ভূমিকা রাখার এটাই আদর্শ সময়। কারণ, তাইজুলের চেয়ে ঠিক এক ধাপ অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা সবাই এখন বিদায়ের মিছিলে। সে হিসেবে তাইজুলের কাছে এটা জানতে চাওয়া মোটেও অস্বাভাবিক নয় যে তিনি একটা সংস্করণের অধিনায়কত্ব নিতে প্রস্তুত কি না।
[ad_2]
Source link