Homeঅর্থনীতিইসলামি ধারার ব্যাংকে বিনিয়োগ রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে

ইসলামি ধারার ব্যাংকে বিনিয়োগ রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে

[ad_1]

দেশের ব্যাংক খাত দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম ও লুটপাটের শিকার হয়েছে। বিশেষ করে ইসলামি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে এই প্রবণতা আরও প্রকট ছিল, যা গ্রাহকদের আস্থার সংকট তৈরি করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ইসলামি ব্যাংকগুলোর আমানত কমলেও বিনিয়োগ ও রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে। এক মাসের ব্যবধানে আমানত কমেছে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বেশি। তবে বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি এবং রেমিট্যান্স আহরণ বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের অক্টোবর শেষে শরিয়াহভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকিংয়ের (পূর্ণাঙ্গ ইসলামি ব্যাংক, প্রচলিত ব্যাংকের ইসলামি ব্যাংকিং শাখা, ইসলামি উইন্ডো) মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৩২ হাজার ৯৩৭ কোটি টাকা, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৪ লাখ ৩৪ হাজার ২৬৭ কোটি টাকা। সে হিসাবে এক মাসে আমানত কমেছে ১ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর আমানত ২ হাজার ৬২১ কোটি টাকা কমেছে। অক্টোবরে পূর্ণাঙ্গ ইসলামি ব্যাংকে আমানতের স্থিতি ছিল ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা।

অক্টোবর শেষে ইসলামি ব্যাংকিংয়ে মোট বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৮ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৫ লাখ ১৬ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক মাসে বিনিয়োগ বেড়েছে ১ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ইসলামি ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ ৬৫৮ কোটি, প্রচলিত ব্যাংকের ইসলামি ব্যাংকিং শাখাগুলোতে ৪৪৭ কোটি এবং উইন্ডোগুলোতে ৩৮১ কোটি টাকা বেড়েছে।

সরকার পরিবর্তনের পর গত ১৯ আগস্ট এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন ছয়টি ব্যাংকের ঋণ বিতরণে বিধিনিষেধ আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া শতভাগ মার্জিন ছাড়া নতুন করে এলসি (ঋণপত্র) না খোলারও নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে গত ৫ ডিসেম্বর এলসি খোলার শতভাগ মার্জিনের বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হয়। এর ফলে ইসলামি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে আমদানি বিল পরিশোধ বেড়েছে। গত অক্টোবরে ইসলামি ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আমদানি বিল পরিশোধের পরিমাণ ছিল ১৩ হাজার ৬১২ কোটি টাকা, যা সেপ্টেম্বরের তুলনায় ৭১৪ কোটি টাকা বেশি।

অক্টোবর শেষে ইসলামি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৭ হাজার ১৩ কোটি টাকা, যা সেপ্টেম্বরের তুলনায় ৫৩৬ কোটি টাকা বেশি। এতে বোঝা যাচ্ছে, শত সংকট সত্ত্বেও প্রবাসীরা ইসলামি ব্যাংকগুলোর ওপর আস্থা রেখেছেন।

একটি ইসলামি ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, ‘সংকট সত্ত্বেও ব্যাংকগুলো নতুন আমানত সংগ্রহের চেষ্টা করছে। ইসলামি ব্যাংকগুলোতে একটা প্যানিক তৈরি হয়েছিল। যার কারণে অনেক গ্রাহক একসঙ্গে টাকা তুলতে এসেছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের তারল্য-সহায়তা সময়মতো পাওয়া গেলে পরিস্থিতি আরও ভালো হতো। আশা করছি খুব শিগগিরই সংকট কেটে যাবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে কাজ করে যাচ্ছে। গ্রাহকদের আস্থা ফিরতে শুরু করেছে, ফলে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত