[ad_1]
ফরিদপুরের মধুখালীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মোহন শেখ (৫০) নামের এক কৃষকের ২৮ শতাংশ জমির গম ও সরিষার ফসল নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে।
রবিবার সকালে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন সংলগ্ন আমুরদী মৌজায় এ ঘটনা ঘটে। জমির মালিক মোহন শেখ জানান, পাশের তেলিকান্দি গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদ মোল্যার (৪০) নেতৃত্বে তার ফসল কেটে ফেলা হয়েছে। ফরিদ মোল্যা সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গেছে।
দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জমিতে সরিষা ও গমের চাষ করা হয়েছিল, যা এখনও পরিপক্ব হয়নি। তবে কিছু অংশ কেটে ফেলা হয়েছে, আর কিছু ফসল নষ্ট করা হয়েছে। স্থানীয়রা এই ঘটনা দেখে হতবাক হয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহমান মোল্যা বলেন, “গত ৪০-৫০ বছর ধরে মোহন শেখ এই জমিতে চাষাবাদ করছেন। এবারও তিনি চাষ করেছেন, কিন্তু আজ সকালে শুনি ফসল কেটে ফেলা হয়েছে। অভিযুক্তরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী, তাই কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।”
মোহন শেখ জানান, তাদের তিন ভাইয়ের নামে ১২২ শতাংশ জমির রেকর্ড রয়েছে। জমিটি নিয়ে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে মামলা চলছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিপক্ষ জাল দলিল তৈরি করে জমি দখলের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তার। তিনি বলেন, “পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমিতে আমরা নিয়মিত চাষ করি। কিন্তু আজ ফরিদ মোল্যা লোকজন নিয়ে কাঁচা গম ও সরিষা কেটে নিয়ে গেছে এবং বাকি ফসল নষ্ট করে ফেলেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
ফসল কাটার বিষয়ে ফরিদ মোল্যা জানান, জমিটি তার পিতা মজিদ মোল্যা স্থানীয় মোবারক মোল্যার কাছ থেকে কিনেছিলেন। তিনি বলেন, “আমাদের এসএ রেকর্ড রয়েছে, এবং রেকর্ড সংশোধনী মামলাতেও আমাদের পক্ষে রায় এসেছে। প্রতিপক্ষ ফসল কেটে নিতে পারে এই আশঙ্কায় আমি নিজেই ফসল কেটে এনেছি।”
এ বিষয়ে মধুখালী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ইমরুল হাসান জানান -’বিষয়টি নিয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। এছাড়া জমিজমা সংক্রান্ত কাজ আদালতের বিষয়, আমাদের কোনো বিষয় না। তারপরও অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।’
[ad_2]
Source link