[ad_1]
পরিমল চন্দ্র সিনহা ২০১৭ সালের ১ এপ্রিল চাকরি থেকে অবসরে যান। তিনি দাবি করেন, তাঁর উদ্ভাবিত ও প্রবর্তিত ‘ইউনিক আইডি’র আইডিয়া থেকে সরকার পরবর্তী সময়ে সারা দেশে এমন কার্যক্রম বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিয়েছে। অথচ উদ্ভাবনের প্রবর্তক হিসেবে তিনি কোনো স্বীকৃতি পাননি। তবে তিনি সরকারের এটুআই প্রকল্প, সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ও সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে ‘ইনোভেশন শোকেসিং’ শীর্ষক সম্মাননা সনদ পেয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পরিমল চন্দ্র ২০১৫ সালে ‘এটুআই’-এর সহযোগিতায় ও উপজেলা প্রশাসন থেকে বিশেষ বরাদ্দ নিয়ে শান্তিগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় ‘ডিজিটাল শিশু জরিপ ও শতভাগ ভর্তি’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেন। প্রকল্পের আওতায় সব সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছে বিনা মূল্যে ভর্তি খাতা বিতরণ করা হয়। কর্মরত শিক্ষকদের মাধ্যমে পরিমল চন্দ্র প্রতিটি গ্রামের সদ্যভূমিষ্ঠ শিশু থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের নাম ও পরিচিতি রেজিস্টার খাতায় নথিভুক্ত করান। এ ছাড়া প্রকল্পের আওতায় উপজেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকের নাম ও মুঠোফোন নম্বর, ঠিকানা, ছবি, শ্রেণি, বিদ্যালয়সহ নানা তথ্য একটি নির্দিষ্ট খাতায় লিপিবদ্ধ করা হয়। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বিপরীতে একটি করে আইডি নম্বরও দেওয়া হয়। ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি এমন কার্যক্রম উপজেলাটিতে বাস্তবায়িত হয়। উদ্ভাবনটি ‘এক আইডি এক শিশু’ ও ‘ইউনিক আইডি’ নামে পরিচিতি পায়।
[ad_2]
Source link