[ad_1]
নারায়ণগঞ্জের মহাসড়কগুলোতে চলাচলকারী চালক, যাত্রী, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাতে মহাসড়কগুলোতে গাড়ির চাপ বাড়লে সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। তখন কখনো ধীরগতিতে আবার কখনো থেমে থেমে গাড়ি চলাচল করে। ওই সময় ডাকাতেরা সাধারণত ঢাকা থেকে আসা প্রবাসী যাত্রী বহন করতে পারে, সম্ভাব্য এমন প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসগুলোকে লক্ষ্য করে অস্ত্র নিয়ে দল বেঁধে হামলা চালায়। মুহূর্তেই তারা গাড়ির কাচ ভেঙে চালক ও যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সবকিছু লুটে নেয়। পুলিশ বলছে, দেড় থেকে দুই মিনিটে তারা ডাকাতি শেষ করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
মামলার নথি বিশ্লেষণ, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা–সিলেট ও এশিয়ান বাইপাস মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে রূপগঞ্জ থানার আওতাধীন তিনশো ফিট, কাঞ্চন সেতু, গোলাকান্দাইল, তারাব সেতু, সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে সানারপাড়, কাঁচপুর সেতুর পশ্চিম অংশ, বন্দরের মলিবাগ, মদনপুর ও কেওডালা, আড়াইহাজারের বান্টি এবং সোনারগাঁ থানার কাঁচপুর, দড়িকান্দী, টিপরদী, সাদীপুর, মোগড়াপাড়া, আষাড়িয়ারচর ও মেঘনা টোল প্লাজা এলাকায় সবচেয়ে বেশি ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। অপর দিকে কুমিল্লা অংশের প্রায় ১০ কিলোমিটার মহাসড়কের মধ্যে দাউদকান্দি ও চান্দিনা থানা এলাকা, বুড়িচংয়ের নিমসার, কালাকচুয়া, সৈয়দপুর এবং কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ও চৌদ্দগ্রামের কয়েকটি এলাকায় এসব ঘটনা বেশি ঘটছে।
১০ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) দুপুরে সোনারগাঁর কাঁচপুর এলাকার অন্তত ছয়জন কারখানা শ্রমিকের সঙ্গে প্রথম আলোর কথা হয়। এই ছয়জনের দুজন ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বাকি চারজন জানিয়েছেন, তাঁদের পরিচিত শ্রমিকেরা রাতবিরাতে সড়কে চলাচলের সময় মহাসড়কে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছেন। মো. খোরশেদ আলম নামে প্রাইভেট কারের একজন চালক বলেন, ‘রাতে গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার সাহস হয় না। বাধ্য হইয়া বের হইলে কাঁচপুর থেইকা দাউদকান্দি পর্যন্ত প্রচণ্ড ভয়ে থাকি।’ হাইওয়ে পুলিশ বলছে, নারায়ণগঞ্জের মহাসড়কগুলোতে সক্রিয় ডাকাত দলগুলোতে প্রধানত নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ, আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, বন্দর, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া ও নরসিংদীর মাধবদী এলাকার ডাকাত সদস্যরা যুক্ত রয়েছে। অভিনব পদ্ধতিতে একেক দিন তারা একেক জায়গায় ডাকাতি করে।
[ad_2]
Source link