Homeরাজনীতিযুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এটিএম আজহারের মুক্তির দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ কর্মসূচি

যুদ্ধাপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এটিএম আজহারের মুক্তির দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ কর্মসূচি

[ad_1]

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ সোমবার দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘আগামীকাল ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মজলুম জননেতা জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের সকল মহানগরী এবং সকল জেলায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে।’

বিকেল ৪টায় পল্টন মোড়ে ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম ১৩ বছরেরও অধিক সময় ধরে কারাগারে আটক আছেন। তাঁকে বারবার রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি বেশ কয়েকবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে ন্যূনতম চিকিৎসা সেবাটুকুও দেওয়া হয়নি।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, দেশবাসী আশা করেছিল যে, চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার এটিএম আজহারুল ইসলাম স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে মুক্তিলাভ করবেন। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৬ মাস ৯ দিন অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলের বিচারিক কার্যক্রমসমূহ সারা বিশ্বে বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রত্যাখ্যাত। স্বৈরাচারের আমলে গ্রেপ্তারকৃত এটিএম আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখা তার প্রতি চরম জুলুম ও অন্যায় ছাড়া আর কিছুই নয়। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে তাঁকে এখনো আটক রাখায় জাতি বিস্মিত ও হতবাক।

বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল সফল করতে জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত অপরাধের বিচারের জন্য গঠন করে অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে এই আদালতের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিচার কার্যক্রম পরিচালনা ও যথাযথ মানদণ্ড ছাড়াই গঠিত হওয়ার অভিযোগ তোলা হয়।

তবে বিরোধী দলগুলোর আপত্তি সত্ত্বেও চলমান থাকে বিচার কার্যক্রম। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ, বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ অন্তত ছয় বিরোধী দলীয় নেতাকে। দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারেই মারা যান অনেকে।

এই বিচারের অংশ হিসেবে ২০১২ সালের ২২ আগস্ট গ্রেপ্তার করা হয় এ টি এম আজহারকে। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর এটিএম আজহারকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন আজহার, কিন্তু উচ্চ আদালতেও বহাল থাকে এই রায়। জারি করা হয় মৃত্যু পরোয়ানাও। তবে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিভিউ আবেদন দাখিল করেন আজহারের আইনজীবীরা।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত