Homeঅর্থনীতিস্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে সরকারের সহায়তা চায় অর্থনীতি সমিতি

স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে সরকারের সহায়তা চায় অর্থনীতি সমিতি

[ad_1]

স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে সরকারের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির অন্তর্বর্তীকালীন কমিটি। আজ সোমবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান সমিতির নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য পাঠ করেন অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য সচিব ও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির নির্বাহী চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ্, কমিটির সদস্য ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদ ও ব্যাংকার মোহাম্মদ নুরুল আমিন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেন, গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বিগত সরকারের পতন হলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অর্থনীতি সমিতিতেও পরিবর্তন আসে। গত সরকারের সময়ে নির্বাচিত নির্বাহী কমিটি নতুন পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালন সমীচীন নয় মনে করে গঠনতন্ত্র মোতাবেক একটি অন্তর্বর্তী কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে। অন্তর্বর্তী কমিটির দায়িত্ব হলো সংগঠনের স্বাভাবিক কার্যক্রমে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং এক বছরের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর। কিন্তু সমিতির কিছু সুযোগসন্ধানী ও স্বার্থান্বেষী সদস্য অফিস দখল, পাল্টা দখল, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর চড়াও হওয়াসহ নানা অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সমিতির স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা দুরুহ হয়ে পড়েছে।

অধ্যাপক হেলাল বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর ১০-১২ জন সদস্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং হোয়াটসঅ্যাপে ‘বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি’ সৃষ্টি করেন, যা অর্থনীতি সমিতি সদস্যদের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে ও সমালোচনার জন্ম দেয়। কারণ, তথাকথিত বৈষম্যবিরোধীর ব্যানারে আনন্দোলনকারী এসব ব্যক্তি ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে একই প্যানেলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

ড. হেলাল বলেন, সমিতির গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী এ অপেশাদার কার্যক্রমে নেতৃত্ব দেন অর্থনীতি সমিতির কার্যনির্বাহক কমিটির সদ্য নির্বাচনে পরাজিত প্যানেলের প্রফেসর ড. মো. আজিজুর রহমান ও সৈয়দ মাহবুব-ই-জামিল, মো. মোসলে উদ্দিন রিফাত, সজল চন্দ্র দাস ও মো. আলতাব হোসাইন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক হেলাল আরও বলেন, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভঙ্গুর অবস্থার সুযোগ নিয়ে গত ৩ অক্টোবর তথাকথিত ওই অ্যাডহক কমিটির ১০-১২ জন সদস্য সমিতির ইস্কাটনস্থ নিজস্ব ভবনের মূল গেইট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলার কলাপসিবল গেট ও সমিতির বিভিন্ন অফিস কক্ষের তালা ভেঙে ফেলে। পরবর্তীতে বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে অর্থনীতি সমিতির ভবন দখলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে নিজেদের তালা লাগিয়ে সমিতির সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়, যা দেশব্যাপী অর্থনীতি সমিতির সদস্যদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী কমিটির অনুরোধে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী পরবর্তীতে তাদেরকে সমিতির অফিস থেকে বের করে দিয়ে তালা লাগিয়ে দিয়ে গেছে। বর্তমানে অফিসটি তালাবদ্ধ আছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও কমিটি সমিতির অফিস খোলার বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে আছে। কারণ, অফিস খোলার পর যদি আবারও ওই চক্রটি হামলা চালায়, তাহলে একটি সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হবে, যাতে অর্থনীতি সমিতির মর্যাদা ক্ষুণ্ন হতে পারে। আর এসব কারণে সমিতির স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থনীতি সমিতির অন্তর্বর্তী কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ্ বলেন, অর্থনীতি সমিতির মতো মর্যাদাশীল ও পেশাদার সংগঠনের সদস্য হয়েও একটি গ্রুপ যেসব অনাকাঙ্খিত কর্মকাণ্ড করছে, তা খুবই অশোভন ও দুঃখজনক।

তিনি বলেন, ‘আমরা সংঘাত চাই না, মিলেমিশে থাকতে চাই। তাই কথিত অ্যাডহক কমিটির সদস্যদের প্রতি অনুরোধ, সামনে সমিতির নির্বাচন হবে। তাতে অংশ নিন। সদস্যরা আপনাদের নির্বাচিত করলে আমাদের কারো কোনো আপত্তি থাকবে না।’

মাহবুব উল্লাহ্ আরও বলেন, গত ১৫ বছরে অর্থনীতি সমিতির অনেক কর্মকাণ্ড ফ্যাসিস্ট ও দুর্নীতিবাজ সরকারের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছিল। সংগঠনের পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষ অবস্থান অনেকটাই ক্ষুণ্ন হয়েছিল। অন্তর্বর্তী কমিটি সেখান থেকে সমিতি তুলে আনার চেষ্টা করছে। সবার উচিত এতে সহায়তা করা।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত