[ad_1]
শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবিরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও তিন লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সমন্বয়কসহ সাতজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। অপর সাতজন শিশু হওয়ায় তাদের গাজীপুরের টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (৮ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।
রাজধানীর কলাবাগান থানার আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সালমানসহ (২৪) সাতজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। অপর সাতজন শিশু হওয়ায় তাদের গাজীপুরের টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজধানীর কলাবাগান থানার আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সালমান (২৪), সাইফুর রহমান রিয়েল খান (২১), সাজিদুল ইসলাম তাহমিদ (২০), শাহাদাত হোসেন (২০), মীর ফাহাদ আহমেদ উৎস (২৫), ছাব্বির আহম্মেদ আবির (১৯) এবং ফারহান (২৫)।
যাদের কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন- ইমন (১৫), পারভেজ হাওলাদার (১৬), হৃদয় হোসেন আকাশ (১৭), নাইম হাওলাদার (১৭), আরাফাত আহম্মেদ (১৪), রুবেল মিয়া (১৬) এবং শেখ রাব্বি (১৪)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার সাব-ইন্সপেক্টর তারেক মোহাম্মদ মাসুদ তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছিলেন।
কলাবাগান থাকার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় করা মামলায় ১৪ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। এদের মধ্যে সাতজন শিশু, অপর সাতজন প্রাপ্তবয়স্ক। সাত শিশুকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে তাদের বিষয়ে নারী ও শিশু আদালতে শুনানি হবে। অপর সাত আসামির জামিন আবেদন ছিল। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।’
কারাগারে আটক রাখার আবেদনে বলা হয়, পান্থপথের ত্রিধারা টাওয়ারের ৩য় তলায় শেখ কবির কাবিকো কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামীয় প্রতিষ্ঠানের অফিস রয়েছে। ৭ মার্চ দুপুর আড়াইটার দিকে আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫ বা ৭ জন পরিকল্পিত ও দলবদ্ধভাবে শক্তির মহড়া ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে। ভয়ভীতি প্রদর্শন ও অফিস কক্ষে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও লুটতরাজ শুরু করে। এ সময় অফিসের টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে নগদ তিন লাখ টাকা লুট করে আসামিদের মধ্যে কয়েকজন অন্যত্র রেখে আসে। অফিস পিয়নের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করেন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় কলাবাগান থানা পুলিশ আসামিদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত টাকার মধ্যে নগদ ৩১ হাজার ১৫০ টাকা, বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি ৮৪টি কয়েন, ২টি প্লাস্টিকের হাতল যুক্ত চাকু জব্দ করে। পরে অফিস সহকারী ইয়াসিন মৃধা কলাবাগান থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন।
[ad_2]
Source link