Homeজাতীয়ছয় বছরেও চালু হয়নি ৫০ শয্যার হাসপাতালের কার্যক্রম! 

ছয় বছরেও চালু হয়নি ৫০ শয্যার হাসপাতালের কার্যক্রম! 

[ad_1]

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রায় পাঁচ কোটি টাকায় ২০১৯ সালে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবল না পাওয়ায় শুরু করা যাচ্ছে না ৫০ শয্যার কার্যক্রম। এতে ১৪ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় ৫ লাখ মানুষ প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে ৬ বছর আগে ৩০ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও জনবল অনুমোদন হয়নি। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, ৩০ শয্যার হাসপাতালটিতে  প্রতিদিন রোগী ভর্তি থাকে গড়ে ৭০ থেকে ১০০ জন। আর বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নেয় গড়ে ৪০০রোগী। বর্তমানে ৩০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা চলতে থাকায় শয্যার অভাবে অতিরিক্ত ভর্তি হওয়া রোগীদের ঠাঁই হয় ওয়ার্ডের মেঝেতে। পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় অতিরিক্ত রোগীদের হাসপাতাল থেকে খাবার সরবরাহ করা হয় অত্যন্ত নিম্নমানের। এখানেও রয়েছে জনবল সঙ্কট। যেখানে ওয়ার্ডবয় তিনজন থাকার কথা সেখানে রয়েছে একজন। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রা:) নেই। স্বাস্থ্য পরিদর্শক পাঁচজন থাকার কথা থাকলেও আছে একজন। আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন নেই, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ১৫ জন থাকার কথা আছে ৬ জন। স্বাস্থ্য সহকারি ৭৪ জন থাকার কথা থাকলেও আছে ৫৭ জন সেখানেও সংকট রয়েছে ১৭ জনের। জুনিয়র মেকানিক্যাল, নাইট গার্ড, পরিচ্ছন্ন কর্মী সংকট রয়েছে। অনুমোদন থাকলেও জনবল নেই।

বর্তমান এখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৫৯ শূন্যপদ রয়েছে। তাই উপজেলায় চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৫০ শয্যার হাসপাতালটি চালু করে জনবল সংকট নিরসন জরুরী হয়ে পড়েছে।

২০১৯ সালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ভবনটি হস্তান্তর করা হয়। ৫০ শয্যায় চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করার জন্য আল্ট্রাসনোগ্রাম যন্ত্র, অটোক্লেভ, ইসিজি, মলমূত্র, রক্ত পরীক্ষার যন্ত্রসহ বিভিন্ন চিকিৎসাযন্ত্র, শয্যা এবং কম্পিউটার ও ল্যাপটপ হাসপাতালে বরাদ্দ আসে। সেই থেকে ৬ বছর পার হলেও ৫০ শয্যার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জনবল ও ওষুধপত্র পর্যন্ত বরাদ্দ মেলেনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল  আরিফুল রহমান বলেন, ৫০ শয্যার কার্যক্রম চালু হলে ওই হাসপাতালে হাড়, চক্ষু, চর্ম, যৌন, শিশু, হৃদ্রোগ, অবেদনবিদসহ নয়জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সার্বক্ষণিক থাকবেন। এতে করে উপজেলার মানুষ বাড়ির কাছে আধুনিক চিকিৎসাসুবিধা ওই হাসপাতাল থেকেই পাবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. সুমি আক্তার বলেন, হাসপাতালে মোটামুটি সবকিছুই আছে। প্রয়োজন জনবল, আর্থিক বরাদ্দ ও ওষুধপত্র। এসব পাওয়া গেলে ৫০ শয্যার কার্যক্রম চালু করা যাবে। 

বরিশাল সিভিল সার্জন ডাক্তার মারিয়া হাসান বলেন, ওই হাসপাতালে ৫০ শয্যার কার্যক্রম চালুর জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন ও জনবল এখনো পাওয়া যায়নি। এটা চালু করা এখন সরকারি সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত