[ad_1]
জামালপুর শহরে জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে আটক স্থানীয় এক ব্যবসায়ীকে পুলিশের গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়েছেন এলাকার লোকজন। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে শহরের শাহপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আরিফুর রহমান চিকু (৩৫) নামে ওই ব্যবসায়ী শাহপুর এলাকার বাসিন্দা। তাকে হাতকড়া পরিয়ে থানায় আনার চেষ্টা করে পুলিশ। এ সময় স্থানীয় লোকজনের প্রতিরোধের মুখে তার হাতকড়া খুলে দেয় পুলিশ। পরে পুলিশের গাড়ি থেকে তাকে নামিয়ে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আরিফুর রহমান ফোনে বলেন, ‘একখণ্ড জমিতে আমি কাজ করছিলাম। তখন কিছু লোক আমার জমির দেয়াল ভেঙে ফেলে। আমি ও আমার লোকজন সেখানে ছুটে গেলে তখন পুলিশও আসে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুলিশ আমাকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে এলাকার লোকজন প্রতিবাদ করে পুলিশের গাড়ি ঘেরাও করেন। লোকজনের প্রতিরোধের কারণে পুলিশ আমার হ্যান্ডকাফ খুলে দিতে বাধ্য হয়। পরে এলাকাবাসী পুলিশের গাড়ি থেকে আমাকে নামিয়ে নিয়ে যায়।’
তবে অভিযোগ পাওয়া গেছে, বৃহস্পতিবার জামালপুর রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন শাহপুর এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলমের (৫৮) বাড়িতে জমি দখলের উদ্দেশ্যে যুবলীগ নেতা আরিফুল আলম চিকু ভাড়া করা লোকজনসহ অতর্কিতভাবে হামলা করে বাড়িঘর ভাঙচুর করেন। সেখানে জোর করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে জাহাঙ্গীরের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস বন্যা থানা পুলিশকে অবহিত করেন। অভিযোগ পেয়ে জামালপুর সদর থানা পুলিশ চিকুকে গ্রেফতার করে পুলিশ গাড়িতে ওঠায়। তখন চিকুর মামাতো ভাই জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুরুল করিম সুমন তার দলের ও আরও কিছু লোকজন দিয়ে পুলিশের গাড়ি থেকে চিকুকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। এ সময় পুলিশ বন্যাকে আক্রমণের হাত থেকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে থানার গাড়িতে অন্যত্র সরিয়ে নেন।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমার ক্রয় করা জমি যুবদল নেতা চিকু এক ছাত্রদল নেতার মাধ্যমে ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে অবৈধ বেদখল করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আইনের আশ্রয় নিলে পুলিশ এসে অভিযুক্ত চিকুকে গ্রেফতার করে। এ সময় ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে অভিযুক্ত চিকুকে পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনতাই করে মুক্ত করে আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। এখন ছাত্রদল নেতাকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে তার সিনিয়র নেতারা আমাকে আইনি প্রতিকার পেতে পুলিশকে প্রভাবিত করছে। এর ন্যায্য বিচার না হলে দল হিসেবে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে।’
জামালপুর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব বলেন, ‘সেখানে আমরা ব্যাকআপ টিম হিসেবে গিয়েছিলাম। মূলত সদর থানাপুলিশ কোনও এক আসামিকে ধরতে গিয়েছিল। আমি পুরো বিষয়টি জানি না। তবে সেখানে কোনও একটা ঝামেলা হয়েছিল।’
এ বিষয়ে জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক বলেন, ‘জমিজমা নিয়ে বিরোধের কারণে এক পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে পুলিশ গিয়েছিল। সেখানে একজনকে আটকও করা হয়েছিল। কিন্তু ওই ব্যক্তি অপরাধী না হওয়ায় তাকে পুলিশই ছেড়ে দিয়েছে।’
[ad_2]
Source link