Homeজাতীয়শিবালয়ে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি: কলেজ শিক্ষকসহ গ্রেপ্তার ২

শিবালয়ে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি: কলেজ শিক্ষকসহ গ্রেপ্তার ২

[ad_1]

মানিকগঞ্জের শিবালয়ে ’শিবালয় সদর উদ্দিন ডিগ্রি কলেজের’ ২য় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে কলেজ শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেনসহ উপজেলার তেওতা ইউনিয়নে ২য় শ্রেণীর এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আব্দুল কুদ্দুস (৫৬) নামের ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার শিবালয় থানা পুলিশ এদের আটক করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করেছে বলে  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এআরএম. আল মামুন।       

অভিযোগে জানাযায়, শিবালয় সদর উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন গত ২৮ অক্টোবর ডাক্তারখানা এলাকায় তার ব্যক্তিগত কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়ানোর সময় নিজ কলেজের মানবিক শাখার ২য় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানি করে। ভুক্তভোগী উক্ত শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সময় নানাভাবে কু-প্রস্তাব জানাতেন এ শিক্ষক। ঘটনার দিন শিক্ষক দেলোয়ার এ শিক্ষার্থীকে সাজেশন দেওয়ার কথা বলে কোচিং সেন্টার থেকে পরে বের হতে বলে। অন্যান্য শিক্ষার্থীরা চলে যাবার পর লম্পট শিক্ষক তাকে আবার কু-প্রস্তাব দেয়। 

এতে এ শিক্ষার্থীর সম্মতি না থাকায় শিক্ষক দেলোয়ার শ্লীলতাহানী করার উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীর হাত ধরে টানাটানি ও জোরপূর্বক তার মুখের হিজাব খুলে নেয়। উক্ত শিক্ষার্থী কৌশলে কোচিং সেন্টার থেকে বেরিয়ে আসে। উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থ হয়ে শিক্ষক  ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য শিক্ষার্থীকে নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি প্রদান করতে থাকে। এব্যাপারে শিবালয় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। 

এর আগেও উক্ত শিক্ষক দেলোয়ারের বিরুদ্ধে একই কলেজের তিন নারী শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করা হয় কলেজ পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি  ও  জেলা প্রশাসক বরাবের।

অপরদিকে, শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়নের ২য় শ্রেণীতে পড়ুয়া এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে বাবুর পয়লা গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস (৫৬) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলাবার দুপুরে তাকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। 

অভিযোগে জানাযায়, উপজেলার তেওতা ইউনিয়েনের বাবুর পয়লা গ্রামের মুত-লাল চাঁন মৃধার পুত্র আব্দুল কুদ্দুস (৫৬) ২য় শ্রেণী পড়ুয়া শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ২৬ অক্টোবর সকালে ভুক্তভোগী শিশু তার এক বান্ধবিকে সাথে করে বাড়ির উপর প্রতিবেশী কুদ্দুসের দোকানে যায়। দোকান বন্ধ থাকায় শিশু বাড়ি ফেরার পথে কুদ্দুস তাদেরকে ডাক দেয়। এ সময় ভুক্তভোগী শিশুর বান্ধবী দৌড়ে চলে গেলেও ভুক্তভোগি শিশুর হাত ধরে টেনে তার বসত ঘরের ভিতরে নিয়ে শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপীরণ করা হয়। শিশুটির ডাক চিৎকার করায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে শিশুটি বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের কাছে বিস্তারিত বলে দেয়। এব্যাপারে শিবালয় থানায় একটি ধর্ষণ চেষ্টার মামলা হয়েছে।

শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এআরএম. আল মামুন ঘটনা দু’টির সত্যতা ম্বীকার করে বলেন, ধর্ষণ চেষ্টা এবং কলেজ শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে থানায় পৃর্থক দু’টি মামলা হয়েছে। আসামীদের  আটক করে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত করে পরবর্তি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত