[ad_1]
জুলাই–আগস্টে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে টানা পাঁচ দিন সারা দেশ ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। এ ছাড়া সরকার পতনের দিন ৫ আগস্টও আড়াই ঘণ্টার মতো ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়।
এই ইন্টারনেট বন্ধের নির্দেশতাদাতা ছিল এনটিএমসি, বিটিআরসি এবং সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, যা সরকারি প্রতিবেদনেও উল্লেখ আছে।
বিটিআরসি প্রণীত প্রস্তাবিত গাইডলাইনেও উল্লিখিত পদধারী ব্যক্তিদের একচেটিয়া ক্ষমতা ও সরকারের মর্জির ওপর সেবা কার্যক্রমের শর্ত রয়েছে।
এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মালয়ার আইন ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ এরশাদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যমান যেসব সেবা রয়েছে সেখানে কী সুবিধা নেই যে নতুন সেবা আনতে হবে। জুলাই–আগস্টের অভ্যুত্থানে যেভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল, তখন অনেকেই স্টারলিংকের পক্ষে ‘হ্যাশট্যাগ’ দিয়েছিলেন। কিন্তু বিটিআরসির খসড়ায় অভ্যুত্থান বিবেচনায় নতুন কোনো বিষয় নেই।
প্রযুক্তির এই শিক্ষক বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানের অভিজ্ঞতায় এখানে একচেটিয়া ক্ষমতা বিটিআরসি বা সরকারি কর্তাদের হাতে দিলে গ্রাহক কোনো সুফল পাবে না। এ ক্ষেত্রে একটি স্বাধীন কমিটি জাতীয় কিছু থাকা উচিত, যেখানে খাতসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরাও থাকবেন। পাশাপাশি বিচার বিভাগীয় তদারকিও থাকা প্রয়োজন।
মুহাম্মদ এরশাদুল করিম আরও বলেন, এখন যাঁরা ইন্টারনেট–সেবা দিচ্ছেন, তাঁরা স্টারলিংককে কীভাবে বরণ করবেন, তা নিয়ে একটা প্রশ্ন থাকবে। আবার স্টারলিংকও সরকারের এত শর্ত মেনে লাইসেন্স নেবে কি না, সেটাও একটা দেখার বিষয়।
[ad_2]
Source link