[ad_1]
ডেনমার্কের স্ট্রাইকার রাসমুস হয়লুন্দ স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, পর্তুগালের বিপক্ষে গোল করার পর ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বিখ্যাত ‘সিউ’ উদযাপন তিনি উপহাস করার উদ্দেশ্যে করেননি। বরং এটি তার ফুটবল আইডলের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন ছিল।
বৃহস্পতিবার ইউরোপিয়ান নেশনস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে কোপেনহেগেনে ডেনমার্কের হয়ে একমাত্র ও জয়সূচক গোলটি করেন হয়লুন্দ। ৭৮তম মিনিটে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমে গোল করার পর তিনি কর্নারের দিকে দৌড়ে রোনালদোর স্বাক্ষরিত উদযাপনটি করেন, ঠিক সেই মুহূর্তে রোনালদো মাঠে উপস্থিত ছিলেন এবং দেখছিলেন এই দৃশ্য।
ম্যাচের পর ডেনিশ ব্রডকাস্টার TV2-কে হয়লুন্দ বলেন, ‘এটি আমার আইডলের জন্য ছিল। তাকে উপহাস করার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। তিনি আমার ফুটবল ক্যারিয়ারে বিশাল প্রভাব রেখেছেন। হয়তো পরিস্থিতিটা কিছুটা অদ্ভুত ছিল, তবে তার দলের বিপক্ষে গোল করা আমার জন্য বিশাল ব্যাপার।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘২০১১ সালে আমি একটি ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলাম যেখানে রোনালদো ফ্রি-কিক থেকে গোল করেছিলেন। তখন থেকেই আমি তার বিশাল ভক্ত হয়ে গিয়েছি।’
হয়লুন্দ এই মৌসুমে তার ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে গোল খরায় ভুগছেন, ঠিক সেই ক্লাবে যেখানে রোনালদো ২০০৮ সালে প্রথম ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন। তবে জাতীয় দলে এসে হয়লুন্দ জয়ের নায়ক হয়ে ওঠেন।
ডেনমার্কের হয়ে ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন প্রথমার্ধে পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু পর্তুগালের গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তা ডানদিকে ঝাঁপিয়ে সেটি রুখে দেন। এরিকসেন এর আগে জাতীয় দলের হয়ে টানা ১২টি সফল পেনাল্টি নিয়েছিলেন এবং ২০১৬ সালের পর থেকে একটিও মিস করেননি।
এ ম্যাচে রোনালদো আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার রেকর্ড ২১৮তম ম্যাচ খেলেন, তবে তার গর্বের ১৩৫ গোলের সংগ্রহে নতুন কোনো সংখ্যা যোগ হয়নি। তবে ৩৯ বছর বয়সেও তিনি দলের অন্যতম ভরসা হিসেবে মাঠে ছিলেন, যদিও তার দলকে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে।
[ad_2]
Source link