Homeঅর্থনীতিযুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে ‘মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল’ গড়ার পক্ষে ইলন মাস্ক

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে ‘মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল’ গড়ার পক্ষে ইলন মাস্ক

[ad_1]

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে ‘মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল’ বা ফ্রি ট্রেড জোন গড়ে তোলার পক্ষে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষস্থানীয় উদ্যোক্তা এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টা ইলন মাস্ক। এই ধনকুবের বলছেন, আমেরিকা ও ইউরোপের মধ্যে কোনো বাধা ছাড়াই ব্যবসার সুযোগ থাকা উচিত। এই দুই অঞ্চলের মধ্যে কোনো শুল্ক না থাকাই ভালো।

গত শনিবার ইতালির ফ্লোরেন্স শহরে লিগ পার্টি নামে একটি দলের আয়োজিত সভায় তিনি ভিডিওর মাধ্যমে যোগ দেন। সেখানেই তিনি ব্যবসার ক্ষেত্রে এই বাধাগুলো সরিয়ে ফেলার পক্ষে নিজের সমর্থনের কথা জানান।

মাস্ক এই মন্তব্য এমন এক সময়ে করলেন, যার কিছুদিন আগেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমেরিকায় আমদানি করা বিভিন্ন জিনিসের ওপর নতুন করে শুল্ক বসানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্য দেশগুলো—যেমন, ইতালি থেকে আসা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক বসানোর পরিকল্পনাও ছিল ট্রাম্পের। উল্লেখ্য, ইতালি আমেরিকার সঙ্গে ব্যবসায় বেশি লাভ করে (অর্থাৎ আমেরিকা ইতালির থেকে বেশি পণ্য কেনে)।

মাস্ক বলেন, ‘সবচেয়ে ভালো হয় যদি ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র একে অপরের পণ্যের ওপর কোনো রকম শুল্ক (ট্যাক্স) না রাখে। এর ফলে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য এলাকা তৈরি হবে।’

লিগ পার্টির নেতা মাত্তেও সালভিনির সঙ্গে কথা বলার সময় মাস্ক এও সমর্থন করেন, আমেরিকা ও ইউরোপের মানুষের একে অপরের দেশে আরও সহজে যাতায়াত করার সুযোগ পাওয়া উচিত। ট্রাম্পকে এ বিষয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন বলেন তিনি।

মাস্ক বলেন, ‘যদি কোনো মানুষ ইউরোপ বা উত্তর আমেরিকায় গিয়ে কাজ করতে চায়, তাহলে আমার মতে তাদের সেই সুযোগ দেওয়া উচিত।’

এর আগেও মাস্ক ইউরোপের কয়েকটি ডানপন্থী দলকে সমর্থন জানিয়েছেন। এদের মধ্যে আছে সালভিনির লিগ পার্টি, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনির দল ‘ব্রাদার্স অব ইতালি’ এবং জার্মানির ‘অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি’ (এএফডি) দল।

শনিবার দিনের শুরুতে, লিগ পার্টির সদস্য ও ইতালির অর্থমন্ত্রী জিয়ানকার্লো জিওরগেত্তি মার্কিন সরকারের সঙ্গে সঙ্গে শুল্ক নিয়ে উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানান। পাল্টা কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সতর্ক করে দেন তিনি।

ইইউর বাণিজ্য প্রধান মারোস সেফকোভিচ বলেন, আমেরিকা তাদের পণ্যের ওপর যে শুল্ক বসিয়েছে, তার জবাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন শান্তভাবে, ধাপে ধাপে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে পদক্ষেপ নেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ট্রাম্প এই নতুন শুল্কগুলোকে ‘অর্থনৈতিক বিপ্লব’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি দাবি করেন, এই পদক্ষেপের ফলে আমেরিকায় শিল্প ও কাজের সুযোগ (চাকরি) আবার ফিরে আসবে।

ট্রাম্পের এই শুল্ক ঘোষণার পর আমেরিকার শেয়ার বাজারে পরপর দুই দিন ধরে ব্যাপক দরপতন হয়, যা কোভিড মহামারির সময়ের পর সবচেয়ে খারাপ অবস্থা। বিশ্বের অন্যান্য দেশের শেয়ার বাজারগুলোতেও একই রকম ধস নামে।

বেশ কয়েকটি দেশ জানিয়েছে, তারাও এর প্রতিশোধ নেবে। এর ফলে একটা বিশ্ব বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন দেশ একে অপরের পণ্যের ওপর পাল্টাপাল্টি শুল্ক বসাবে।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত