[ad_1]
ইংল্যান্ডে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কঙ্গনা রানাউত অভিনীত ও নির্মিত বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘এমার্জেন্সি’র প্রদর্শনী। জানা গেছে, ছবি চলাকালে একদল লোক হলের ভেতরে প্রবেশ করে ভারতবিরোধী শ্লোগান দিতে থাকে। ওই হট্টগোলে ছবি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে দেশটির ৩ শহরে ছবিটির প্রদর্শনী বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গত রোববার রাতে হ্যারো ভ্যু সিনেমা হলে দেখানো হচ্ছিল ‘এমার্জেন্সি’। সেসময় ভারতবিরোধী স্লোগান দিয়ে হলে ঢুকে পড়ে একদল লোক। ভারতীয় গণমাধ্যম জানাচ্ছে ওই ব্যক্তিরা খলিস্তানি।
সেদিন ওই হলের বেশিরভাগ দর্শক ছিলেন প্রবাসী ভারতীয়। সিনেমা শুরু হওয়ার মিনিট ৪০ পর হঠাৎ হলের ভেতর ঢুকে হট্টগোল শুরু করে তারা। মুখোশ পরা কয়েকজন মিলে হলের ভেতর ভারতবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন এবং দর্শকদের মধ্যে লিফলেট বিলি করেন। এ সময় তাদের বলতে শোনা যায়, ‘ভারত নিপাত যাক।’
ঘটনার ১০ মিনিটের মধ্যে সেখানে পৌঁছায় পুলিশ। দর্শকদের নিরাপদে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। যদিও হট্টগোলকারী কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। কেন? পুলিশ জানিয়েছে, প্রতিবাদ করার অধিকার সবারই আছে। যেহেতু কেউ আহত হননি, তাই কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ব্রিটেনে বসবাসরত শিখদের অন্যতম প্রতিনিধি জসবীর সিং বলেন, ‘শিখবিহীন ভারতবর্ষ গড়ে তোলার প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে “এমার্জেন্সি”’।
লন্ডনে এমন ঘটনার পর ব্রিটেনের তিনটি শহরে ‘এমার্জেন্সি’র শো বাতিল করা হয়েছে। জানা গেছে, কঙ্গনা রানাউত অভিনীত ছবিটি হলে দেখানোর সময় ব্রিটেনজুড়ে একই রকম কাণ্ড ঘটানো হতে পারে। সে কারণেই বার্মিংহ্যাম, উলভারহ্যাম্পটন এবং ওয়েস্ট লন্ডনে ছবির শো বন্ধ রাখা হয়।
উল্লেখ্য, ভারতজুড়ে মুক্তি পেলেও পাঞ্জাবের বেশ কিছু অংশে দেখানো হচ্ছে না ‘এমার্জেন্সি’। এর মধ্যে রয়েছে পাতিয়ালা, অমৃতসর, ভাটিন্ডার মতো শহরও।
[ad_2]
Source link