ভবিষ্যতে চাঁদ ও অন্যান্য উপযুক্ত গ্রহ-উপগ্রহে বসতি স্থাপনের স্বপ্ন দেখছে মানুষ। কিন্তু নির্মাণ ও জ্বালানি উৎপাদনের উপকরণ পৃথিবী থেকে নিয়ে যাওয়া অবাস্তব হবে। তাই কীভাবে চাঁদের উপকরণ কাজে লাগানো যায়, সেই মহড়া চলছে।
চাঁদের ধূলিকণা কাজে লাগিয়ে কীভাবে কাচ বা ইট তৈরি করা সম্ভব, বার্লিনে গবেষকরা তা জানার চেষ্টা করছেন। কারণ, পৃথিবী থেকে চাঁদে এমন উপকরণ নিয়ে যাওয়ার ব্যয় মারাত্মক রকম বেশি। অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষজ্ঞ এনরিকো স্টল বলেন, ‘অনেক সংস্থা সত্যি চাঁদে মালপত্র সরবরাহ করতে চায়। চাঁদে এক কিলো মাল পাঠানোর জন্য তারা ১০ লাখ ইউরো মাসুল চাইছে।’
পৃথিবীর বুকে চাঁদের ধূলিকণার মতো পদার্থ সৃষ্টি করার জন্য প্রয়োজনীয় বেজাল্ট এবং ফেল্ডস্পারের মতো উপকরণ আগ্নেয়গিরির কাছে পাওয়া যায়। তবে সেগুলো যতটা সম্ভব শুকনা হতে হবে।চাঁদের বুকে জ্বালানি উৎপাদনও অন্তত কাগজে-কলমে সম্ভব। সেখানে সূর্যের আলো বেশ প্রখর, আকাশে কোনো মেঘ নেই। ফলে সোলার সেল ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেতে পারে। বার্লিনের ছাত্ররা ইটের পাশাপাশি কাঁচও সৃষ্টি করতে সফল হয়েছেন। সেই কাচের মধ্য দিয়ে যতটা সম্ভব আলো চলাচল জরুরি।চাঁদের বুকে মানুষের প্রথম পদার্পণের প্রায় অর্ধ শতাব্দী পর মানুষ আরও বড় স্বপ্ন দেখছে। তারা চাঁদে বসবাস করতে চায়।
সুত্রঃ ডয়চে ভেলে
এস এম/