[ad_1]
ইতিবাচক-নেতিবাচক মিলিয়ে এবারের বিপিএলটা অনেকভাবেই ব্যতিক্রম। ইতিবাচক দিকগুলোর মধ্যে একটা হলো, এবার রান হচ্ছে প্রচুর। আগের ১০ আসরে দুইশ প্লাস ইনিংস যেখানে ৩৬টি, এবার ২৪ ম্যাচ শেষে সংখ্যাটা ৯। বাকি ২২ ম্যাচে আরও ৫-৬টা দুশো প্লাস ইনিংসের আশা করাই যায়।
রানবন্যার এই বিপিএলেও দুর্বার রাজশাহীর পেসার তাসকিন আহমেদ হিসাবি। ওভারপ্রতি ছয়ের একটু বেশি করে রান দিচ্ছেন তিনি। ২৭ ওভার বোলিং করে খরচ করেছেন ১৭২ রান, ইকোনমি ৬.৩৭। এখন পর্যন্ত তার চেয়ে ভালো ইকোনমি দুজনের—১ উইকেট নেওয়া চিটাগং কিংসের বিনোরা ফার্নান্দোর ৩.৫০ ও ১১ উইকেট নেওয়া খুশদিল শাহর ৫.৯৫।
তাসকিন বোলিংয়ে কিপটেমি করছেন, ব্যাপারটা কেবল সেখানে সীমাবদ্ধ নেই। উইকেটও তুলে নিচ্ছেন তিনি। রাজশাহীর হয়ে ৭ ম্যাচ খেলা তাসকিন এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি, তাও প্রতি উইকেটের পেছনে ১১’র কম রান খরচায়। উইকেটপ্রতি ১০.৭৫ করে রান খরচ করেছেন। বিশের আশপাশে গড় থাকলে কোনো বোলারকে যেমন খুব ভালো বলা যায়, তাসকিনকেও অন্তত এই বিপিএলের জন্য তা ডাকাই যায়।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাসকিনের গড় ২৩.২৮, আর সব ধরনের টি-টোয়েন্টিতে ২২.০১।
ইকোনমির মতো তাসকিনের চেয়ে এই বিপিএলে ভালো গড় মাত্র দুজনের—নাঈম ইসলাম (৪.০০) ও মার্ক দেয়ালদের (৫.০০) কেউই অবশ্য একটির বেশি উইকেট নিতে পারেননি। খুশদিল শাহ তাসকিনের কাছাকাছিই রয়েছেন, প্রতি উইকেটের পেছনে ১০.৮১ করে রান খরচ করেছেন এই পাকিস্তানি।
২০১৩ সাল থেকে বিপিএল খেলছেন তাসকিন। সর্বোচ্চ ২৬ উইকেট নিয়েছিলেন ২০১৯ সালের আসরে। কিন্তু এবারের মতো কোনো আসরেই গড় কিংবা ইকোনমি এত ভালো ছিল না। নিজের প্রথম বিপিএলে ৭.৬০ ইকোনমি ও ১৪.২ গড়ে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন।
[ad_2]
Source link