দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর, ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে জবির অন্তর্ভুক্তি ও বরাদ্দ বৃদ্ধিসহ ৫ দফা দাবি নিয়ে শিক্ষাসচিবের সঙ্গে দেখা করতে যান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল। তবে ১২ সদস্যের ওই দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অসম্মতি ও অপারগতা প্রকাশ করেন শিক্ষাসচিব। এর প্রতিবাদে সচিবালয়ের সামনেই অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষাসচিবের সাক্ষাৎ না পেয়ে সংক্ষুব্ধ হয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, এখন আর সচিব নয়, শিক্ষা উপদেষ্টাকে আসতে হবে আমাদের সামনে। সচিবের সময় শেষ হয়ে গেছে।
শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নওশীন নাওয়ার জয়া সমকালকে বলেন, আমরা শিক্ষাসচিবের কাছে এসেছিলাম স্মারকলিপি নিয়ে। আমাদেরকে কেচি গেটের ভিতরে দাঁড় করিয়ে ভেতর থেকে প্রতিনিধি পাঠিয়ে দাবি-দাওয়া তাদের কাছে দিতে বলা হয়েছে। আমাদেরকে ভিতরে যেতে দেওয়া হয়নি। সচিব জানিয়েছেন, আমাদের সঙ্গে কথা বলার তার সময় নেই। উপদেষ্টা আসার আগ পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান করবো। আমরা যেহেতু একবার বের হয়ে এসেছি আর ভিতরে গিয়ে কথা বলবো না। শিক্ষা উপদেষ্টাকে আমাদের সামনে আসতে হবে।
প্রসঙ্গত, শুরুতে তিন দফা দাবি জানালেও পরে পাঁচ দফা দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো
স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাতদিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসারদের হাতে এই দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে; শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখাসহ ঘোষণা করতে হবে যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর হয়েছে; অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে; সম্প্রতি ইউজিসির ঘোষণাকৃত পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক বাজেট সর্বনিম্ন ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করতে হবে।
এর আগে দুপুরে সচিবালয়ে প্রবেশ করেন তারা। সেখানে শিক্ষাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে স্মারকলিপি প্রদান করতে চেয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের মধ্যে রয়েছেন- আন্দোলনের মুখপাত্র ও জবি শিক্ষার্থী তৌসিব মাহমুদ সোহান, সংগঠক এ কে এম রাকিব, রাইসুল ইসলাম নয়ন, আসাদুল ইসলাম, আবু বকর খান, নওশীন নাওয়ার জয়া, সোহান প্রামাণিক, মাসুদ রানা, নূর নবী, ওমর ফারুক, ফেরদৌস শেখ ও অপু মুন্সী।
এ ইউ/