Homeপ্রবাসের খবরসৌদি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরছেন ১২ রেমিট্যান্স যোদ্ধা

সৌদি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরছেন ১২ রেমিট্যান্স যোদ্ধা

[ad_1]

গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সৌদি আরবে আনন্দ ও প্রীতিভোজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সেই অনুষ্ঠান থেকে আটক হন ১২ জন রেমিট্যান্স যোদ্ধা। আটকের সাত মাস পর অবশেষে তাদের মুক্তি দিয়েছে সৌদি সরকার। তাদের মধ্যে ২ জন আগামী সপ্তাহে এবং বাকি ১০ জন আজ ৩ এপ্রিল (বৃহষ্পতিবার) দেশে ফিরছেন বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগিদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, আজ রাত দেড়টায় হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে পৌঁছাবেন তারা। সেখানে স্বজনদের পাশাপাশি তাদের স্বাগত জানাবে জাতীয় জনতা ফোরাম, জাতীয় মানবাধিকার সমিতি ও জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ নামক তিনটি সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

এর আগে গত ১৫ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে সৌদি আরবে আটক ১২ প্রবাসীর মুক্তির দাবি জানায় ভুক্তভোগি পরিবারগুলো। এছাড়াও মানববন্ধন ও প্রধান উপদেষ্টাসহ একাধিক মন্ত্রণালয়ে স্মারক লিপিও প্রদান করেন তারা। আর এতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করে জাতীয় জনতা ফোরাম, জাতীয় মানবাধিকার সমিতি ও জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।

প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারক লিপি প্রদানের পর সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে জানানো হয়, তাদের মুক্তির বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে সরকারের পক্ষ থেকে গুরুত্বসহকারে তদারকি করা হবে। পরে পবিত্র ঈদুল ফিতরের ২ দিন আগে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং খুব শীঘ্রই মুক্তি পাবেন।

এমতাবস্থায় আজ ঈদুল ফিতরের চতুর্থদিন স্মারকলিপি প্রদানের ২০ দিনের মাথায় আটক সবাইকে মুক্তি দিয়েছে সৌদি সরকার। তাদের মধ্যে ১০ জন আজ দেশে ফিরছেন এবং বাকী ২ জন আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে রওনা দিবেন বলে জানা গেছে।

ভিক্টিম পরিবারের সদস্য মো. আহসান উল্লাহ এবং বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাতীয় জনতা ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ অলিদ বিন সিদ্দিকী তালুকদার আজ (৩ এপ্রিল) এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, পবিত্র রমজান মাসে তাদের সকলের ঈদের আগে মুক্তি দাবি করেছিলাম। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে সকলে মুক্তি পেয়েছেন। তারা প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

অলিদ তালুকদার বলেন, এদেশের উন্নয়নের মূল নায়ক কৃষক, শ্রমিক, মজুর, সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে সারা পৃথিবীতে অবস্থানকারী অভিবাসী ভাই-বোনেরা। অভিবাসী কর্মীরা আমাদের সোনার সন্তান। যারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অক্লান্ত পরিশ্রম করে তাদের শ্রমে ঘামে উপার্জিত রেমিট্যান্স দেশে প্রেরণ করে। তাদের উপার্জিত আয়ের কারণেই আমাদের রিজার্ভ বেড়েছে, আমরা বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি পতিত আওয়ামী সরকারের আমলে জুলাই বিপ্লবের সময় সবচেয়ে কম প্রবাসী আয় এসেছে ১.৯১ বিলিয়ন ডলার অথচ আওয়ামী সরকার পতনের পর সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে এই দুই মাসে প্রবাসী আয় ২৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার। মূলত জুলাই মাসে হাসিনা সরকারের প্রতি অনাস্থা এবং ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা রেমিট্যান্স পাঠানো কমিয়ে দেয়। পতিত আওয়ামী সরকার যদি আরও বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতো, আমার ধারণা, প্রবাসী ভাই-বোনেরা তাদের রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধই করে দিত।

ভিকটিম পরিবারের সদস্যরা তাদের পাশে থেকে মুক্তির দাবিতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করায় বিএনপির চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, রাস্ট্র সংস্কার আন্দোলন এর প্রধান এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আহ্বায়ক খোমেনি এহসান, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, জাতীয় জনতা ফোরাম এর সভাপতি মোহাম্মদ অলিদ বিন সিদ্দিক তালুকদারকে বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।



[ad_2]

Source link

এই বিষয়ের আরো সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

এই বিষয়ে সর্বাধিক পঠিত