বিশ্বব্যাপী ভূরাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। এর ফলে দেশে ব্যবসায়িক পরিবেশে অস্থিতিশীলতা দেখা দিয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা (এসএমই) বলছেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি, ব্যবসায়িক হয়রানি, ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদহার, কর ও ভ্যাট ব্যবস্থার জটিলতা এবং যানজটের কারণে ব্যবসা পরিচালনার খরচ বেড়েছে। বিনিয়োগের পরিবেশও প্রত্যাশিত মাত্রায় নেই। তাঁরা সহজ ও স্বচ্ছ ভ্যাট ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ ব্যবসায়িক পরিবেশ গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন।
গতকাল শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) উদ্যোগে রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, আইনশৃঙ্খলা, আয়কর ও ভ্যাট, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ সুদহার এবং যানজটবিষয়ক মতবিনিময় সভায় এসব দাবি ওঠে। সভায় ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকার ১০টি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতা এবং বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, কর ও ভ্যাট ব্যবস্থার জটিলতা, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট, আমদানি-রপ্তানিতে দীর্ঘসূত্রতা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি—এসব মিলিয়ে দেশের এসএমই খাতের উদ্যোক্তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটি নিরাপদ, স্থিতিশীল ও পূর্বানুমানযোগ্য ব্যবসায়িক পরিবেশ গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এসএমই উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ বাড়ানো হয়েছে। মেয়াদি ঋণের সময়সীমা পাঁচ থেকে বাড়িয়ে সাত বছর করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃ অর্থায়ন তহবিলের আওতায় এসএমই উদ্যোক্তারা সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ সুদে এবং নারী উদ্যোক্তারা ৫ শতাংশ সুদে ঋণের সুবিধা পাচ্ছেন।
ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা পশ্চিমের অতিরিক্ত কমিশনার মো. মিলন শেখ বলেন, রাজস্বের প্রায় ৮০ শতাংশ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে আদায় করা হয়। ভ্যাট ব্যবস্থাকে সহজ করতে মোবাইল অ্যাপ চালুর উদ্যোগ সরকার বিবেচনা করছে। ব্যবসায়ীদের ভ্যাট সম্পর্কে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।