আগামী এক বছরের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল (এফটিজেড) স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশকে একটি বৈশ্বিক উৎপাদন কেন্দ্র বা গ্লোবাল ম্যানুফ্যাকচারিং হাবে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু হচ্ছে।
এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নেতৃত্বে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি), শিল্প মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) প্রতিনিধিরা যুক্ত আছেন। কমিটি দেশের বিদ্যমান আইন—যেমন অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, কাস্টমস আইন, আমদানি ও রপ্তানি আইন পর্যালোচনা করে এফটিজেড প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো, বিধি ও নির্দেশিকা প্রণয়নের কাজ করবে।
এ বিষয়ে বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানিয়েছেন, জাতীয় কমিটির কার্যকর সমন্বয় ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলে চলতি বছরের মধ্যেই প্রথম এফটিজেড জোন ঘোষণার পথ সুগম হবে। বাংলাদেশকে একটি গ্লোবাল ম্যানুফ্যাকচারিং হাবে পরিণত করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে এবং এফটিজেড তার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
বেজার তথ্য অনুযায়ী, এফটিজেড প্রতিষ্ঠার জন্য উপযুক্ত স্থান চিহ্নিতকরণ, ভৌগোলিক সুবিধা, অবকাঠামো ও লজিস্টিক সহায়তা বিশ্লেষণ এবং অংশীজন নির্ধারণের কাজ চলমান। এ লক্ষ্যে গত ২১ এপ্রিল জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং এর প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৬ মে।
সিঙ্গাপুরের জুরং দ্বীপ ও দুবাইয়ের জেবেল আলী মুক্ত অঞ্চলের মতো সফল এফটিজেড মডেল বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশে উপযোগী কাঠামো তৈরি করা হবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, রপ্তানি বৃদ্ধি, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।