বিশ্ববাজারের প্রতিযোগিতা ছাপিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রফতানিতে প্রবৃদ্ধিতে শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (OTEXA)-এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ—এই তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি বেড়েছে ২৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ, যা বিশ্বের প্রধান রফতানিকারক দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ।
এই সময়ে বাংলাদেশ থেকে মোট ২ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে, যেখানে আগের বছর ছিল ১ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। শুধু রফতানির অঙ্কেই নয়, পরিমাণের দিক থেকেও বাংলাদেশ ২৫ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে।
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অগ্রগতি
২০২৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রে মোট পোশাক আমদানি দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলারে, যা আগের বছরের তুলনায় ১০ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি। তবে প্রবৃদ্ধির দৌড়ে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গেছে সবাইকে। তুলনামূলক চিত্র নিচে দেওয়া হলো:
বাংলাদেশ: রফতানিতে ২৬.৬৪ শতাংশ ও পরিমাণে ২৫.২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি
ভারত: ২৪.০৪ শতাংশ (রফতানি), শতাংশ (পরিমাণ)
পাকিস্তান: ১৭.৪৯ শতাংশ (রফতানি), ১৯.৯৪ শতাংশ (পরিমাণ)
ভিয়েতনাম: ১৩.৯৬ শতাংশ (রফতানি), ৯.১৪ শতাংশ (পরিমাণ)
চীন: ৪.১৮ শতাংশ (রফতানি), ২.৩০ শতাংশ (পরিমাণ)
ইউনিট মূল্য প্রবণতা
রফতানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ইউনিট দামের দিক থেকেও বাংলাদেশের অবস্থান তুলনামূলক স্থিতিশীল:
বাংলাদেশ: ইউনিট দামে ১.১২ শতাংশ বৃদ্ধি
ভিয়েতনাম: ৪.৪২ শতাংশ বৃদ্ধি
চীন: ১.৮৩ শতাংশ বৃদ্ধি
ভারত: ২.৪৬ শতাংশ হ্রাস
পাকিস্তান: ২.০৪ শতাংশ হ্রাস
এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রতিযোগিতামূলক মূল্য, কর্মদক্ষতা এবং সরবরাহ শৃঙ্খলার উন্নয়ন—এই তিনটি কারণে বাংলাদেশের রফতানি এমন প্রবৃদ্ধি দেখাতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা টেকসই করতে হলে অব্যাহত বিনিয়োগ, শ্রম দক্ষতা উন্নয়ন এবং জ্বালানি-পরিবহন অবকাঠামোতেও নজর দিতে হবে বলে মনে করেন তিনি।