ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনা থামাতে না থামাতে ফের আলোচনায় ক্রিকেট। যুদ্ধবিরতির পর আবার শুরু হচ্ছে আইপিএল ও পিএসএল, তবে তার আগে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল জনসন দিলেন কড়া বার্তা— ‘আইপিএল এবং পিএসএল, দুই টুর্নামেন্টই এখনই বন্ধ করে দেওয়া উচিত।’
জনসনের এই মন্তব্য ঘিরে ক্রিকেট মহলে হইচই পড়ে গেছে। তার মতে, সাময়িক যুদ্ধবিরতি মানেই নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নয়। খেলোয়াড়দের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলে ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়া একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তার কলামে জনসন লিখেছেন, ‘যুদ্ধবিরতির সময়ও নিরাপত্তা নিশ্চিত নয়। অনেক খেলোয়াড় যে ফিরে যেতে চাইছে না, সেটা একেবারেই স্বাভাবিক। আইপিএল ও পিএসএলের আয়োজকদের বোঝা উচিত, নিরাপত্তার চেয়ে বড় কিছু নেই। যদি দরকার হয়, তাহলে এই দুটি টুর্নামেন্ট এখানেই শেষ করে দেওয়া উচিত অথবা অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়া উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেউ যেন জোরপূর্বক না ফেরে। খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার অনুভবই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আইপিএল বা পিএসএলের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকলেও, জীবন তার চেয়ে অনেক বড়।’
৮ মে ধর্মশালায় ম্যাচ চলাকালীন পাথানকোট ও জম্মুতে হামলার কারণে আইপিএল এক সপ্তাহ স্থগিত রাখা হয়েছিল। এখন যুদ্ধবিরতির ভিত্তিতে ১৭ মে থেকে পুনরায় শুরু হচ্ছে টুর্নামেন্ট। উদ্বোধনী ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু খেলবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে।
তবে সমস্যার জায়গা এখন বিদেশি ক্রিকেটাররা। অধিকাংশই ভারত ছেড়েছেন, এবং তারা ফিরবেন কি না—তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিসিসিআই ও আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে খেলোয়াড়দের ফেরাতে।
ফাইনাল পিছিয়ে ৩ জুন করা হলেও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সামনে থাকায় অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকার শীর্ষ ক্রিকেটারদের নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই গেছে।
মিচেল জনসনের কণ্ঠে শুধু সমালোচনা নয়, ছিল মানবিকতার সুরও। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটে আবেগ আছে, সংস্কৃতি আছে, জাতীয় পরিচয়ও আছে। কিন্তু সেই আবেগ কখনোই মানুষের জীবনের চেয়ে বড় নয়। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত না করে খেলা চালানো এক ধরনের অবিবেচনা।’