স্প্যানিশ ফুটবলের সবচেয়ে বড় ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের উদীয়মান ডিফেন্ডার রাউল আসেনসিও বড় বিপদেই পড়েছেন। চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত খেলতে থাকা এই ডিফেন্ডারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এসেছে। স্প্যানিশ আদালত যৌন ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছে তার। স্প্যানিশ আদালত জানায়, তিনি ও আরও তিন সতীর্থ এক প্রাপ্তবয়স্ক নারী এবং এক নাবালিকার সম্মতি ছাড়াই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ধারণ ও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন।
আসেনসিওর বিরুদ্ধে এই মামলার তদন্ত শুরু হয় ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে, যখন তাকে রিয়াল মাদ্রিদের যুব দল থেকে গ্রেফতার করা হয় তিন সতীর্থসহ। এখন আদালত আনুষ্ঠানিকভাবে মামলার বিচার শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম El Partidazo de COPE জানায়, ২২ বছর বয়সী এই সেন্টার-ব্যাকের বিরুদ্ধে স্পেনের ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৯৭ ধারা অনুযায়ী ‘ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস’, ‘ভিকটিমের সম্মতি ছাড়া ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া’ এবং ১৮৯ ধারা অনুযায়ী ‘নাবালিকাকে পর্নোগ্রাফিক কাজে ব্যবহার ও এমন ভিডিও রাখা’—এই গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।
স্প্যানিশ সংবাদ সংস্থা EFE আরও জানায়, ভিডিওটি অন্তরঙ্গ মুহূর্তের এবং সেটি পাঁচজন সতীর্থ ও রিয়াল মাদ্রিদের আরও ৩২ জন খেলোয়াড় ও কর্মীর কাছে পাঠানো হয়। ভিডিওতে আসেনসিও নিজে উপস্থিত না থাকলেও বিতরণকারীদের একজন ছিলেন বলে আদালতের নথিতে উল্লেখ রয়েছে।
মার্চে RTVE-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আসেনসিও বলেন, ‘আমি খুব শান্ত আছি। সবাই জানে তারা কী করছে। এটা কেবল সময়ের ব্যাপার।’ তবে মামলা চলমান থাকায় তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
এই ঘটনার পর স্প্যানিশ ফুটবলে তৈরি হয় ব্যাপক আলোড়ন। সতীর্থদের অনেকেই সরাসরি প্রতিবাদ করেছেন। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে একটি ম্যাচে মায়োর্কার ডিফেন্ডার পাবলো মাফেও মাঠেই আসেনসিওকে উদ্দেশ করে চিৎকার করে বলেন, ‘ভিডিও ছড়াতে যাও, বোকা!’
উল্লেখ্য, রাউল আসেনসিও সম্প্রতি স্পেন জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন এবং ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় ডিফেন্ডার হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিলেন। কিন্তু এই ঘটনায় তার ক্যারিয়ার বড় ধরনের ধাক্কা খেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্প্যানিশ ফুটবল মহল।