উপদেষ্টার সাবেক একান্ত সচিব (এপিএস) ও সাবেক দুই ব্যক্তিগত কর্মকর্তার (ছাত্র প্রতিনিধি) দুর্নীতির অভিযোগ ১০ কার্যদিবসের মধ্যে অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী।
আজ রোববার বিকেলে দুদকের সেগুনবাগিচা কার্যালয়ে তাঁরা এই আবেদন করেন। আবেদনকারী আইনজীবিরা হলেন অ্যাডভোকেট নাদিম মাহমুদ, ইয়াছিন আলফাজ ও মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (ছাত্র প্রতিনিধি) তুহিন ফারাবি ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (ছাত্র প্রতিনিধি) মাহমুদুল হাসান।
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সাবেক এপিএস মো. মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। প্রায় একই ধরনের অভিযোগ উঠেছে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (ছাত্র প্রতিনিধি) তুহিন ফারাবি ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (ছাত্র প্রতিনিধি) মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে।
আবেদনে বলা হয়, তাঁরা ফ্যাসিবাদের দোসর চিকিৎসক-প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অর্থের বিনিময়ে পুনর্বাসনে সহায়তা করেছেন। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার, স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, পানিসম্পদ, গণপূর্ত, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে ঘুরে ঘুরে তদবির করতেন বলে পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করে যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ২২ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও উপদেষ্টা তাঁকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দেন ৮ এপ্রিল। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের পিও ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।