বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কসংক্রান্ত সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(খ) ধারার বৈধতা নিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ–সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেনের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
এর আগে সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(খ) ধারা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রাশিদুল হাসান ও মানবাধিকার সংগঠন ‘এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশন’–এর পক্ষ থেকে রিট দায়ের করা হয়। গত ৭ এপ্রিল রিটটি দায়ের করা হয়।
গত ২৫ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনীর গেজেট প্রকাশ করা হয়। সংশোধিত আইনের ৯(খ) ধারায় বলা হয়েছে, ‘যদি কোনো ব্যক্তি দৈহিক বলপ্রয়োগ ব্যতীত বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ষোল বৎসরের অধিক বয়সের কোনো নারীর সঙ্গে যৌনকর্ম করেন এবং যদি উক্ত ঘটনার সময় উক্ত ব্যক্তির সহিত উক্ত নারীর আস্থাভাজন সম্পর্ক থাকে, তাহলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক সাত বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন এবং এর অতিরিক্ত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবেন।’
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। তিনি বলেন, সংশোধিত আইনের ৯(খ) ধারা অনুযায়ী বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শুধু পুরুষের সাজার বিধান কেন অসাংবিধানিক নয়, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। এটি একটি বৈষম্যমূলক ধারা। কেননা প্রতিশ্রুতি নারী বা পুরুষ যে কেউই না রাখতে পারেন। কিন্তু শুধু পুরুষের শাস্তির বিধান করা হয়েছে। শুধু একজনকে দায়ী করা অসাংবিধানিক। এটি থাকলে পাঁচ বছর পর এসে বলবে—সম্পর্ক ছিল, বিয়ে করেনি, অতএব তার (পুরুষ) বিরুদ্ধে মামলা দাও।