রাজীব সালেহীন : ‘দাগি’তে আমার অভিনীত বাবু চরিত্রটি নিয়ে যে কথা হচ্ছে, আমি নিজেও তা টের পাচ্ছি। একটি চরিত্রে অভিনয়ের পর যখন আলোচনা হয়, তখন তা সত্যিই আনন্দের। ভীষণ ভালো লাগার। আমি ঢাকার খিলগাঁও, গোড়ান, বাসাবো এলাকায় বেড়ে উঠেছি—সেখানে মহল্লার সংস্কৃতি ছিল। মহল্লায় হয় কী, বন্ধুদের যেকোনো বিপদে, যেকোনো আনন্দে সব সময় বন্ধুরা পাশে থাকে। এমনকি বন্ধুরা যদি ছোটখাটো কোনো অন্যায় করে, তখনো বন্ধুরা বন্ধুর কাঁধ থেকে হাত সরায় না। আমার এ রকম অনেক বন্ধু আছে—স্কুলের, মহল্লার, কলেজজীবনের। ওই দৃষ্টিকোণ থেকে বাবু চরিত্রটা আমার খুবই চেনা। কখনো আমার জীবনে আমি অনেকের ‘বাবু’ হয়েছি, আবার অনেকে আমার জন্য ‘বাবু’ হয়েছে।
প্রথম আলো :
আপনার জীবনে ‘বাবু’ কে ছিলেন? কোনো মজার ঘটনা আছে?
রাজীব সালেহীন : আসলে তো ছোট ছোট অনেক স্মৃতি, অনেক গল্প। অনেক ছোট্ট ছোট্ট দুষ্টুমির জন্য বিপদে পড়া। নানা সময়ে যখন যার কোনো উদ্যোগ ছিল, যে যেই ঘটনার নায়ক, তখন আমরা অন্যরা বাবু হয়ে যেতাম। কখনো দেখা যেত—আমি স্কুলে কোনো একটা দুষ্টুমি করেছি বা মহল্লায় কোনো একটা দুষ্টুমি করেছি—সেটার বিচার দিতে গিয়ে কোনো অভিভাবক এল, তখন আমার অন্য বন্ধুরা ‘বাবু’ হয়ে পাশে এসে দাঁড়াত। আবার কখনো কখনো অন্য বন্ধুর বিপদে আমরা বাবু হয়ে পাশে দাঁড়াতাম। বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে, বিভিন্ন কারণে—আমরা কখনো বাবু, আমরা সবাই ‘দাগি’র নিশান।