নতুন পরিসংখ্যান অনুযায়ী কুড়িগ্রামে ৭১ শতাংশ থেকে দারিদ্র্য কমে ৩১ শতাংশ হয়েছে। ৪০ শতাংশ মানুষকে দারিদ্র্য দূর করার জন্য অবশ্যই এমন কার্যক্রম থাকতে হবে, যাতে ব্যাপক মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। সরকার যেহেতু এ রকম কোনো উদ্যোগ নিতে পারেনি তাই নিশ্চিত করে বলা যায়, এই পরিসংখ্যান বিশ্বাসযোগ্য নয়। ২০১৬ সালের পরিসংখ্যানে দেখানো হয়েছে, দেশের সবচেয়ে গরিব উপজেলা ছিল কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর। সেখানে দারিদ্র্যের হার ছিল ৮০ শতাংশ। এখন সেই উপজেলার মানুষেরও ভাগ্যের উন্নয়ন হয়েছে পরিসংখ্যানে। পরিসংখ্যানে উন্নয়নের কথা বলা হলেও বাস্তবে সেখানে নাগরিকদের কোনো উন্নয়ন হয়নি। বরং আগের তুলনায় এই উপজেলায় গরিব মানুষের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার কথা।
কেবল দারিদ্র্য কমে যাওয়া নয়, দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধি পরিসংখ্যানেও আছে গোঁজামিল। নতুন পরিসংখ্যানে দেখানো হয়েছে, দেশে এখন সবচেয়ে গরিব জেলা মাদারীপুর। ২০১৬ সালের দারিদ্র্য মানচিত্রে এই জেলাকে দেখানো হয়েছিল দেশের তৃতীয় ধনী জেলা হিসাবে। এই জেলা কীভাবে দেশের সবচেয়ে গরিব জেলা হলো, তাও কারও কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। মাদারীপুরকে দেশের সবচেয়ে গরিব জেলা দেখানোর কারণে ওই জেলার লোকজনই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মাদারীপুরে যদি গরিব মানুষ বৃদ্ধি পায় তাহলে কুড়িগ্রাম কিংবা রংপুরে সেই গরিব মানুষের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার কথা।