আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু তার খেলোয়াড়দেরকে সুখে-দুঃখে কতটা আগলে রাখেন, সেটাই প্রকাশ পেলো লেগস্পিনার সুয়াশ শর্মার কথায়। ২০২৩ সালে আইপিএলে অভিষেক হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে। দুই মৌসুম খেলে গত বছরের মেগা অকশানে ২ কোটি ৬০ লাখ রুপিতে বেঙ্গালুরুতে পা রাখেন সুয়াশ।
২২ আইপিএল ম্যাচে ১৪ উইকেট নিয়েছেন এই লেগস্পিনার। কিন্তু গত দুই বছর ধরে হার্নিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে ইনজেকশন নিয়ে তাকে খেলতে হয়েছে। এই অবস্থায় যখন তার ক্যারিয়ার ঝুঁকির মুখে পড়ে যায়, তখন জীবন বদলে দেয় বেঙ্গালুরু। তার একাধিক হার্নিয়া সারাতে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি।
চলতি আইপিএলে শুরু থেকে ৯ ম্যাচ খেলেছেন সুয়াশ। ২১ বছর বয়সী স্পিনার নিয়েছেন চার উইকেট। অথচ হার্নিয়ার অস্ত্রোপচারের কারণে তার খেলার কথা ছিল তিন চার ম্যাচ পর।
বেঙ্গালুরু তাদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। সেখানে সুয়াশকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমি ব্যথা নিয়েই খেলতে অভ্যস্ত ছিলাম। সমস্যা হলো, ভারত বা কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেললে সামলে নেওয়া যায় সবটা। কিন্তু যখন খেলছিলাম না, তখন থেকেই আমার চোট ছিল। তখন আমি কিছুই জানতাম না। তবে আরসিবি আমার ওপর অনেক আস্থা দেখিয়েছে এবং তারা আমার ওপর অনেক বিনিয়োগ করেছে। আমার অস্ত্রোপচার এবং সব কিছু পরিচালনা করেছে। এখন আমি সম্পূর্ণ সুস্থ।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি গত দুই বছর ধরে ব্যথায় ভুগছিলাম। আমি ইনজেকশন নিতাম এবং খেলতাম। আমার কী সমস্যা ছিল, ভারতে থাকার সময়ে তা আমি জানতে পারতাম না। তার পর আরসিবি আমাকে অস্ত্রোপচারের জন্য লন্ডনে পাঠায়। সেখানে আমি জেমস পাইপের (আরসিবি ফিজিও) সঙ্গে দেখা করি। তিনি এবং তার পরিবার আমাকে আপন করে নেয়। আমার তিনটি হার্নিয়া ছিল। যাইহোক প্রথম ম্যাচটা খেলার আশা করিনি। আমাকে বলা হয়েছিল যে, তুমি ৩-৪ ম্যাচের পরে খেলবে, কারণ এটি একটি বড় অস্ত্রোপচার ছিল। কিন্তু পাইপ যেভাবে আমার যত্ন নিয়েছে, আমি এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে আসার জন্য খুবই কৃতজ্ঞ।’