এ দিকে সকাল থেকে দফায় দফায় শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে চলে যেতে পুলিশ অনুরোধ জানালেও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত মহাসড়ক না ছাড়ার ঘোষণাতে তাঁরা অনড় থাকেন। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উভয় দিকে গাড়ির দীর্ঘ সারি তৈরি হয়।
ঢাকাগামী ট্রাকচালক শাহ আলম জানান, দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টা মহাসড়কে যানজটে আটকা ছিলেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে সড়ক ফাঁকা হলে ঢাকার দিকে রওনা হয়েছেন। তিনি বলেন, সকালে মহাসড়কে আটকে দেওয়ায় শত শত মালবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহন যানজটে পড়েছিল। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি ছিল যাত্রী পরিবহন করা গাড়িগুলোর।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের দাবি–দাওয়ার ব্যাপারে আলোচনার আশ্বাস দিয়ে মহাসড়কে থেকে সরিয়ে আনেন পুলিশের সদস্যরা। দুপুর ১২টা পর্যন্ত শ্রমিকেরা কোম্পানির ভেতরে অবস্থান করছিলেন।
গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কহিনুর আক্তার দুপুর ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, সকালে বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে শ্রমিক এবং মালিক পক্ষকে নিয়ে বসেন। শ্রমিকদের অধিকাংশ দাবিদাওয়া কিছুটা এদিক-সেদিক করে মেনে নিয়েছে কোম্পানি। সব শ্রমিকদের বেতন এক হাজার টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। এরপরেও কর্মরত শ্রমিকদের অন্য কোনো অভিযোগ, দাবিদাওয়া থাকলে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।