‘বজরঙ্গি ভাইজান’ দেখে চোখ ভিজেছিল দর্শকদের। ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি প্রায় ৯৬৯ কোটি রুপি ব্যবসা করেছিল। শুধু টাকার অঙ্ক নয়, সালমানের ক্যারিয়ারও সমৃদ্ধ করেছিল হনুমানভক্ত পবন কল্যাণ আর এক বোবা শিশুর ঘরে ফেরার এই গল্প। অনেক দিন ধরে গুঞ্জন, আসতে পারে বজরঙ্গি ভাইজান-এর সিকুয়েল। এবার সেই গুঞ্জনের পালে হাওয়া দিলেন সিনেমাটির গল্পকার ও চিত্রনাট্যকার ভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সম্প্রতি চিত্রনাট্যকার ভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদের সঙ্গে দেখা হয়েছে সালমানের। বজরঙ্গির সিকুয়েল নিয়ে কথা হয়েছে তাঁদের মধ্যে। বিজয়েন্দ্র প্রসাদ পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তা স্বীকারও করেছেন। তিনি বলেন, ‘গত ঈদে সালমানের সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তাঁকে আমি গল্পের কয়েকটা লাইন শুনিয়েছি। তিনি পছন্দও করেছেন। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী হয়।’
প্রখ্যাত পরিচালক এস এস রাজামৌলির বাবা ভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদ তেলুগু ও কন্নড় সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনাট্যকার। তাঁর চিত্রনাট্যে তৈরি হয়েছে ‘মাগাধিরা’, ‘বাহুবলী’, বজরঙ্গি ভাইজান, ‘মনিকর্নিকা’, ‘থালাইভি’, ‘আরআরআর’সহ ২৫টির বেশি সিনেমা। হিন্দিতে যে কটি সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন, বজরঙ্গি ভাইজান সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত। বিজয়েন্দ্র প্রসাদ নিজেও চাইছিলেন, সিনেমাটির সিকুয়েল আসুক। তবে ভালো গল্প ও উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষায় ছিলেন সালমান। এত দিনে সেটা পাওয়া গেছে। এবার শুধু বজরঙ্গি ভাইজান ২-এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা।
বজরঙ্গির প্রথম পর্ব পরিচালনা করেছিলেন কবির খান। দ্বিতীয় পর্বও তাঁর হাতে তৈরি হতে পারে। সিনেমায় সালমানের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন কারিনা কাপুর খান, নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী ও হর্ষালি মালহোত্রা। বজরঙ্গির গল্পে দেখা গিয়েছিল, ছয় বছর বয়সী পাকিস্তানি মেয়ে মুন্নি হঠাৎ হারিয়ে যায়। তার দেখা পায় সালমান অভিনীত চরিত্র পবন কুমার। উদ্ধার করে নিয়ে আসে। মুন্নি কথা বলতে পারে না। ইশারায় বোঝা যায়, তার বাড়ি পাকিস্তানে। তাকে বাড়ি ফেরানোর দায়িত্ব নেয় পবন।
দ্বিতীয় পর্বে কী গল্প হবে, সেটা এখনো জানা যায়নি। তবে গল্পে যে চমক থাকবে, তা আন্দাজ করা যায়।